মাইনে কমালেন রাষ্ট্রপতি, ছাড়লেন মার্সিডিজ, অতিথিদের আর ভোজনবিলাস নয়

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : করোনার জের এবার খোদ ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে৷ ব্যায় সংকোচন করার জন্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁর দেড় লক্ষ টাকা বেতন ত্রিশ শতাংশ কমিয়ে করলেন এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা৷ শুধু তাই নয়, তাঁর জন্যে নির্ধারিত মার্সিডিজ এস ক্লাসের গাড়িটি তিনি আর ব্যবহার করবেন না, নিরাপত্তার কারণে চড়বেন লিমুজিনে৷ সফর করবেন কম৷ অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সভা সমিতি সারবেন৷ তিনশো একুশ একরের রাষ্ট্রপতি ভবনের হেঁশেলেও বিরাট পরিবর্তন আনা হচ্ছে৷ ভবনের বেসমেন্টে এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কিচেন৷ এক্সিকিউটিভ শেফ মন্টু সারিন এর নেতৃত্বে প্রায় পঁয়তাল্লিশ জন কাজ করেন বেকারি, কনফেকশনারি, কিচেন প্রভৃতি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে৷ সংখ্যা কমানো হচ্ছে৷ তবে , কারও চাকরি যাচ্ছে না৷ বিলাসিতা কমাতে তাদের অন্য কাজে নিয়োজিত করা হবে৷ প্রায় প্রতি রাতেই রাষ্ট্রপতি ভবনে নানা ধরণের বাঙ্কোয়েট থাকে৷ অতিথিদের মেনুতে থাকবেই থাকবে মুর্গ দরবারি, গোস্ত ইয়াখানি, ডাল রাইসিনা, কোফতা আলুবোখরা এবং রাজভোগ৷ মুর্গ দরবারি এবং রাজভোগ এই মেনু থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে৷ যেমন কাটছাঁট করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্যান মোগল গার্ডেনেও৷ রাষ্ট্রপতি ভবনের নির্মাতা সার এডউইন লুটিয়েন্স উনিশশো সতেরো সালে এই বাগানের পত্তন করেছিলেন৷ একশো উনষাট রকমের গোলাপ ফোটে এখানে৷ এশিয়ান লিলি, টিউলিপ এবং ড্যাফোডিলও হয়৷ রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আর একশো উনষাট প্রজাতির গোলাপ চাষ হবেনা৷ খরচ কমাতে গোলাপের ওপরও হাত পড়েছে৷ আসলে, করোনা জর্জরিত দেশে যেখানে ক্ষুধাই প্রবল সমস্যা, যেখানে বিলাসিতা যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করে আনতে চাইছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ইতিহাস নিশ্চই তাঁকে মনে রাখবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *