নাগরিক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলকে ষড়যন্ত্রমুলক হত্যা মামলায় আসামী করার প্রতিবাদে বরিশাল বিভাগের ১৭ জন পৌরসভার মেয়র গতকাল রোববার বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয় গত ২৪ মে বাউফল পৌর এলাকার জেলা পরিষদ ডাকবাংলো গেটে তোরন স্থাপন করা নিয়ে আওয়ামীলীগের স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনায় দলের নীরিহ সমর্থক তাপস কুমার দাস নিহত হন। সংঘর্ষের ঘটনার সময় বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক জুয়েল বাউফল থানার অভ্যন্তরেই ছিলেন। অথচ দূভাগ্যজনকভাবে তাকে তাপস হত্যা মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে। যা মিথ্যা এবং অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রনেদিত। এ ধরনের তৎপরতা সুস্থ্য ধারার রাজনীতিকে চরমভাবে বাঁধাগ্রস্থ করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয় বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল করোনাকালীন পুরো সময়ে এলাকায় অবস্থান করে জনস্বার্থে কাজ করেছেন। কিন্ত তাকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী করায় তিনি এখন পৌরসভার দাফতরিক কাজ করতে পারছেন না। এজন্য বাউফল পৌরসভার সেবামুলক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতার সৃস্টি হয়েছে। থমকে গেছে উন্নয়মুলক কাজ। স্মারকলিপিতে জিয়াউল হক জুয়েলকে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার মো. ইয়ামিন চৌধুরী এবং ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলামের কাছে দাবী জানানো হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির সভাপতি কেন্দ্রীয় সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং সাধারন সম্পাদক শরিয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল এক যুক্ত বিবৃতিতে বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মে সকালে বাউফলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস আহত হয়ে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন। এ ঘটনায় জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই পংকজ কুমার দাস।##
২০২০-০৫-৩১