নাগরিক রিপোর্ট: মেঘনা ঘেরা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রোববার রাতে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে। এসময় আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আব্দুল হালিমের বাড়ি ভাংচুর করে প্রতিপক্ষ গ্রæপ। পুলিশের একটি মোটরসাইকেলেও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। উপজেলার উলানিয়া বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আব্দুল হালিমের (আ’লীগ) বাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উলানিয়া ইউনিয়ন বিভক্ত করে নবগঠিত উত্তর উলানিয়া ও দক্ষিন উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। রোববার প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী চেয়ারমান ও মেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়পত্র গ্রহন করা হয়। এরই জের ধরে রাতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হালিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রুমা সরদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রুমা সরদার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম আলতাফ সরদারের স্ত্রী।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী আব্দুল হালিম বলেন, রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের পর রাতে তার বাড়িতে সহ¯্রাধিক কর্মী সমর্থক উপস্থিত হলে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। রাত ৯টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুমা সরদারের সমর্থক ১৫০-২০০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার বসতঘর ব্যাপক ভাংচুর এবং সমর্থকদের মারধর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। আব্দুল হালিমের অভিযোগ, হামলাকারীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের অনুসারী।
স্বতন্ত্র প্রার্র্থী রুমা সরদারের ছেলে তারেক সরদার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে যাওয়ার জন্য উলানিয়া বাজার অতিক্রম করছিলেন। নৌকার প্রার্থী কাজী আব্দুল হালিমের বাড়ি অতিক্রমকালে তার কর্মী সমর্থকরা রুমা সরদারের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন চুন্নুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। তারেক সরদারের দাবী, এ ঘটনা প্রতিপক্ষের ওপর চাপাতে আব্দুল হালিম নিজের বসতঘর ভাংচুর ও পুলিশের মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবিদুর রহমান সোমবার বেলা ২টায় জানান, মারামারি ঘটনায় দুই পক্ষের কেউই মামলা দায়ের করেনি। পুলিশের মোটরসাইকেলে তারা অগ্নিসংযোগ করেছে সেটা তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ বাদী হয়ে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করবে।