নাগরিক রিপোর্ট: ট্রলারে বন্ধুর জন্মদিন পালনের সময় কীর্তণখোলা নদীতে পড়ে দ্বীপ ঘোষ (১৬) নামক তরুনের মৃত্যুটি দূর্ঘটনা ছিল না। তাকে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দ্বীপ ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া অপমৃত্যু মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দ্বীপের বন্ধু রিয়াদ হোসেনকে (১৭) গ্রেফতার করেছে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসএই মো. রুম্মন বৃহস্পতিবার জানান, গ্রেফতারকৃত রিয়াদ হোসেন দ্বীপকে নদীতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। রিয়াদ নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
এসআই রুম্মান আরও জানান, গত ৩ নভেম্বর কীর্তণখোলা নদী থেকে দ্বীপের লাশ উদ্ধারের পর তার পিতা মন্টু ঘোষ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। তিনি (রুম্মন) এটির তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার সময়ে ট্রলারে জন্মদিন পালন উৎসবের মোবাইলে ধারন করা ভিডিও ফুটেজ গত ২৪ নভেম্বর সংগ্রহ করেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রিয়াদ তার বন্ধু দ্বীপকে কোলে তুলে নদীতে ফেলে দিচ্ছে। রিয়াদ ও তার বন্ধুরা যখন বুঝতে পারে দ্বীপ সাতাঁর জানে না, তখন তারা দ্বীপকে উদ্ধারে নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্ত ¯্রােতের টানে দ্বীপ ভেসে যাওয়ায় তাকে উদ্ধার করতে পারেনি বন্ধুরা।
বিএমপির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়- ভিডিও ফুটেজে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্বীপের বাবা মন্টু ঘোষ রিয়াদসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার রাতে রিয়াদকে পুলিশ তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সে আদালতে স্বীকারোক্তীমুলক জবানবন্দী দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ট্রলারে বন্ধুর জন্মদিন উৎসব পালনের সময় নগরী সংলগ্ন কীর্তণখোলায় পড়ে গিয়ে নিঁখোজ হন দ্বীপ ঘোষ। পরদিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল তার লাশ উদ্ধার করেন। দ্বীপ ঘোষ নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার মন্টু ঘোষের ছেলে।