নাগরিক রিপোর্ট: বরগুনার পাথরঘাটায় বরফ মিলের অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলেন্ডার বিস্ফোরণে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ্য হয়েছে নারী ও শিশুসহ অর্ধ শতাধিক। এদের মধ্যে গুরুতর ২০ জনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাথরঘাটা পৌরশহরের ৯ নং ওয়ার্ডে আলম মোল্লার মালিকানাধীন মোল্লা আইস ফ্যাক্টরি বরফ মিলে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বিষাক্ত এমোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় নানা শংকা দেখা দিয়েছে।
নিহত ব্যাক্তি হচ্ছে- পিরোজপুর জেলার পারেরহাট উপজেলার বাদুরা গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে শাহজাহান হোসেন ওরফে স¤্রাট (৫৫)।
বরফ মিলের প্রতিবেশী মোহাম্মদ জসিম মিয়া জানান, রাত বারোটার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দের আওয়াজ শুনতে পাই। ঘর থেকে বাহিরে নেমে দেখি এমোনিয়া গ্যাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার মানুষ বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করে খালে মধ্যে লাফিয়ে পরছে। পরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে অসুস্থ্যদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এঘটনায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিষাক্ত এমোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় বসতিরা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা বাড়ি ফিরেছেন। অসুস্থ্যদের উদ্ধার করার সময় মারুফ হোসেন ও রেজাউল করিম নামের দু’জন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকর্মী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে বরিশাল পাঠানোহয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আবুল ফাতাহ জানান, আহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়া চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান। এ জন্য শুক্রবার ৯ জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান মারুফুজ্জামান জানান, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে গ্যাসের তীব্রতার কারনে আমরা কাছে ভিরতে পারিনি। এক ঘন্টা পর গ্যাসের তীব্রতা কিছুটা কমে যাওয়ায় আমরা আমাদের কৌশলগতভাবে ওই এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সকালে গ্যাসের তীব্রতা কমে গেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।