তালতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা : বরগুনার তালতলীতে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় বিশ বছর ধরে শহীদ মিনার নির্মাণ হয়নি। গত ২১শে ফেব্রুয়ারি দিন ওই বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারে নাই।
এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন দুই শিক্ষার্থী ইমরান তাহির ও রিজভি খান ফেসবুকে প্রতিবাদ করলে তাদের নামে থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। ইমরান তাহির ও রিজভি খান উপজেলার বরবগী ইউনিয়নের বাসিন্দা তারা একসময় ওই স্কুলের ছাত্র ছিল।
জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নয়াভাইজোড়া বি এন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে শহীদ মিনার না থাকায় প্রতিবছর অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষার্থীরা। এবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যালয়টিতে কোন ধরনের শহীদ মিনার নেই এ নিয়ে সাবেক ছাত্র ইমরান তাহির ও রিজবি খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ জানান।
অভিযোগে জানা যায়, নয়াভাইজোড়া বি এন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক পেজ থেকে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোষ্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে ইমরান তাহির একটি মন্তব্য করেন ‘বাহ সুন্দর তো নয়াভাইজোড়া স্কুলের শহীদ মিনার’। পরে ওই দিন ইমরান তাহির নয়াভাইজোড়া বি এন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে স্কুলে শহীদ দিবসে কোন আয়োজন নেই এই মর্মে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এর পরেই স্কুলের সাবেক ছাত্র রিজভী খান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। এই স্ট্যাটাসে ইমরান তাহির ‘লজ্জা নেই আসবে আসবে কোথা থেকে’ মন্তব্য করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ও স্কুল শিক্ষকদের মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
নয়াভাইজোড়া বি এন এ মাধ্যমিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইমরান তাহির জানান, গত ২০ বছরেও নয়াভাইজোড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নাই, এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়।
নয়াভাইজোড়া বি এন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, ইমরান তাহির ও রিজবি খান ফেসবুকের পোষ্টের নিচে কমেন্টে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের শহীদ করা ও স্কুলশিক্ষকদের লজ্জা নেই এ ধরনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এ বিষয় তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ও স্কুল শিক্ষকদের কটুক্তি করে মন্তব্য করায় নয়াভাইজোড়া বিএনএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম থানায় সাধারন ডাইরি (জিডি) করেন।