নাগরিক রিপোর্ট :
বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও শফিকুল হক মিলনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, আগামীকাল সকাল ১১ টায় মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সোমবার রাতে তিনি টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিলো। অনুমতি পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর আদালতে মামলা হবে।
রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে আসামী করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয় গত ৯ মার্চ। গত মঙ্গলবার সকালে নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম এই আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হয়। এতে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ সৃষ্টি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের হুমকি সহ নির্বাচিত সরকার উৎখাতের জন্য রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দেয়। আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির আইনের ১২৩(ক)/১২৪(ক)/৩৪ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হবে। এজন্য ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৬(ক) ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুমতির আবেদন করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মিজানুর রহমান মিনু তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘হাসিনা রেডি হও- আজ সন্ধ্যার সময়- কালকে সকাল তোমার নাও হতে পারে। মনে নাই পঁচাত্তর সাল? পঁচাত্তর সাল মনে নাই?’ তা্র এই বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়া, সংবাদপত্র ও ফেসবুক লাইভে প্রচার হয়। মামলার বাদী মুসাব্বিরুল ইসলাম জানান, আসামীরা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তারা বারবার পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার কথা স্মরন করিয়ে হুমকি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়েছে। যা রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধের সামিল। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এজন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হবে।