নাগরিক রিপোর্ট:
ইমামকে জঙ্গিবাদী ও সরকার বিরোধী আখ্যা দিয়ে হুমকি দেওয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মধুকে লাঞ্ছিত করেছেন মুসল্লিরা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর ১ নং ওয়ার্ড পশ্চিম কাউনিয়া আওফ ইবনে সালামা (রাঃ) (সৌদি) জামে মসজিদে।
খবর পেয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুসহ আওয়ামীলীগের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপস্থিত মুসল্লিরা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের বয়ান শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে মাস্ক পরে মসজিদে আসার নোটিশ পড়ছিলেন মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ মুজিবুর রহমান।
এসময় সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান (মধু) ইমামকে জঙ্গিবাদী ও সরকার বিরোধী মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেন এবং হুমকিও দেন। এঘটনার প্রতিবাদ করেন উপস্থিত মুসল্লিরা। এক পর্যায় মুসল্লিদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি সামলাতে ইমাম মজিবুর রহমান দ্রæত আযান দিতে মুয়াজ্জিনকে নির্দেশ দেন। এর পরপরই দ্রæত জামাত শুরু করেন। কিন্তু বেশকিছু মুসল্লি নামাজ না পড়েই মসজিদ ত্যাগ করেন।
বরিশাল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. মাহাবুবুর রহমানর (মধু) দাবী করছেন, ইমাম মুজিবুর রহমান মসজিদে জুমায় সরকার বিরোধী এবং জঙ্গিবাদী বক্তব্য দিয়ে আসছেন। যার তার প্রতিবাদ করেন মসজিদের সভাপতি। এসময় মধু নিজেও প্রতিবাদ জানান। এ নিয়েই মুসল্লিদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে ইমাম মজিবুর রহমান বলেছেন, বয়ানে মুসল্লীদের করোনা বিষয়ক নির্দেশনা শোনাচ্ছিলাম। তিনি এসময় মুসল্লীদের বলেছেন যে, আপনারা মাস্ক পড়বেন, সরকারের বিধিনিষেধ মানবেন। তখন ভাইস চেয়ারম্যান মধু ভাই দাড়িয়ে বলেছেন, এই মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না, ইমাম সাহেব এগুলো বলেন না। আপনি (ইমাম) সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এতে মুসল্লীরা প্রতিবাদ করলে ভাইস চেয়ারম্যান মুসল্লীদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এর ফলে উত্তেজিত হন মুসল্লীরা। হাতাহতি হয় ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে মুসল্লীদের। এমাম বলেন, নামাজের পরে এক সভায় ভাইস চেয়য়ারম্যান আসরের পর আর মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন।