ইউএনও’র বাসভবনে হামলা, জামিন পোলো আ’লীগের আরও দুই নেতা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন দুই আওয়ামীলীগ নেতা রোববার আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তারা হলেন- ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কর্মী তানভীর আহসান।
গত ১৮ আগষ্ট পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সর্টগানের গুলিতে এ দুজনের চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ দুজন তাদের ডানচোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন। মনির ও তানভীর ঘটনার পরদিন (১৯ আগষ্ট) থেকে ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, রোববার মনির ও তানভীর বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচরক মো. মাসুম বিল্লাহ দুইজনকে তার (তালুকদার মো. ইউনুস) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাসউদ বাবলুর জিম্মায় ১০ হাজার মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন। দুই মামলায় পুলিশী প্রতিবেদন দেয়ার আগ পর্যন্ত জামিন বহাল থাকবে।
এর আগে দুই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীন ১২ জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী গত ২ সেপ্টেম্বর এবং নয়জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী গত ২৫ আগষ্ট একই শর্তে জামিন পেয়েছেন। রোববার মনির ও তানভীরে জামিনের পর দুটি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আর কোন আসামী কারাগারে নেই। দুটি মামলারই প্রধান আসামী সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
মেয়রসহ এজাহারভূক্ত অন্য আসামীদের জামিন প্রসঙ্গে তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি সমঝোতার মাধ্যমে অবসান হয়েছে। মামলা দুটি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিস্পত্তি হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদে সদর আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে লাগানো ব্যানার-ফেষ্টুন গত ১৮ আগষ্ট রাত ১০টায় সিটি করপোরেশনের কর্মী পরিচয়ে অপসারন করতে যায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের একদল কর্মী। এসময় প্রথমে আনসার সদস্যরা ও পরে ইএনও মো. মুবিবুর রহমান বাঁধা দিলে তার বাসভবনে হামলা করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা।
এর জের ধরে রাত ২টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ইউএনও এবং পুলিশ বাদী হয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রশাসনের উর্ধ্বত মহলের হস্তক্ষেপে ঘটনার চারদিন পর গত ২২ আগষ্ট রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদলের সরকারি বাসভবনে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *