নাগরিক রিপোর্ট : নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ঢাকা মহানগরীর সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, জানতে চেয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে তাকে।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্প্ত সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মল্পুাফী ও সাধারণ সম্পাদদক হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে চিত্তরঞ্জন দাসকে অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিস্কার করা হলো।
রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ জানিয়েছেন, চিত্তরঞ্জন দাসকে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী নেওয়া হবে।
সম্প্রতি একজন নারীর সঙ্গে চিত্তরঞ্জন দাসের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১১ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধেদ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণীকে নিজের দিকে ডাকছেন চিত্তরঞ্জন দাস। ওই তরুণীকে কাছে টেনে বারবার তাকে জড়িয়ে ধরছেন। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মুখরোচক আলোচনার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর পরপরই ওই নারী আইনের আশ্রয় নেন।
যদিও চিত্তরঞ্জন দাস ভিডিওটি প্রসঙ্গে কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি মঞ্চ নাটকের সঙ্গেও জড়িত আছেন। তার সঙ্গে নাটকের রিহার্সেল করার নামে ভিডিও ধারণ করে সেটি পরিকল্কিপ্পতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নারী নিজেই ভিডিওটি ধারণ করে নিজের ফেসবুকে ছেড়ে দেন। থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠনকে সামনে রেখে তাকে বিপদে ফেলতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ওই নারীকে ব্যবহার করে এটি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।