পটুয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দফায় দফায় হামলা

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কলেজ রোডস্থ বনানী এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, বিএনপির দাবি তাদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, বিএনপির চেয়াপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ ছিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়। এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টির বক্তৃতা চলাকালীন ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের কমবেশি ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ারের উপস্থিতিতে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সভা চলছিল। আমার বক্তৃতার সময় আওয়ামীলীগের যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এভাবে তারা প্রতিটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালায়। এতে আমাদের কর্মসূচি থেমে থাকবে না। বরং আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন হবে।

অন্যদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, ‘আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মী বিএনপির সমাবেশে হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই। তবে, বিএনপির কমিটি নিয়ে তাদের বিবাদমান দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন যাবৎ। হয়তো তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আওয়ামীলীগের উপর। নিজের দায় অন্য দলের ঘাড়ে চাপানো রাজনীতি নয়। তাই বিএনপির এ ধরণের মিথ্যাচার বন্ধ করার জন্য দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানাচ্ছি’।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি যেমন স্বাভাবিক ছিল, তেমনই শান্দ শান্ত আছে। তাছাড়া বিএনপি সভা করলে তো অনুমতি নিতো। তারা তো সমাবেশ করার কোন অনুমতিও নেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *