নাগরিক ডেস্ক : বরিশালের মুলাদী উপজেলায় খাল থেকে উদ্ধার করা দুইচোখ উপড়ানো অজ্ঞাত কিশোরীর পরিচয় পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ খাল থেকে দুই চোখ উপরানো ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকা অজ্ঞাত এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল মুলাদী থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে স্বজনরা কিশোরীর পরিচয় শনাক্ত করেছেন। নিহত কিশোরীর নাম আখিনুর বেগম (১৪)।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান শনিবার দুপুরে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি স্কুলছাত্রী আখিনুর বেগমের। সে মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের মো. শাহে আলম হাওলাদারের মেয়ে। গাছুয়া ইউনিয়নের চরপৈক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল আখিনূর।
আখিনূরের ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ৩ আগস্ট সকালে পূর্ব হোসনাবাদ এলাকায় খালাতো বোন হালিমা বেগমের বাড়িতে যায় আখিনুর। বিকেল ৪টায় প্রাইভেট পড়ার কথা বলে খালাতো বোনের বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু বাড়িতে না ফেরায় ৪ আগস্ট আখিনুরের বাবা খালাতো বোন হালিমা বেগমের কাছে ফোন করে আখিনুরের খবর জানতে চান। তখন খালাতো বোন হালিমা জানান, আখিনুর ৩ আগস্ট বিকেলেই চলে গেছে। এরপর থেকে আখিনুরের সন্ধান পাচ্ছিল না তার পরিবার।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক তরুনীর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা শুক্রবার থানায় যাই এবং মৃতদেহটি আখিনুরের লাশ বলে আমরা শনাক্ত করি। এ ঘটনায় আখিনুরের বাবা মো. শাহে আলম হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে শুক্রবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত আখিনূরের বড় ভাই আরও জানান, বোন আখিনুর বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতো। বাবা শাহ আলম তাকে (আবুল কালাম আজাদ) জানিয়েছে, এলাকার একটি ছেলে প্রেম নিবেদন করে আখিনুরকে উত্যক্ত করতো। মুঠোফোনেও উত্যক্ত করতো। আখিনুরের হত্যাকান্ডের সঙ্গে সেই ছেলে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন স্বজনরা।
মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, আখিনুরের মুঠোফোনের কল ট্রাকিং করে একই এলাকার সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আটক তিনজনের নাম বলেননি ওসি।
আখিনূরের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেছেন মুলাদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিব। তিনি বলেন, কিশোরীর দুই চোখ খুঁচিয়ে বের করে ফেলা হয়েছে। মাথার সামনের দুই পাশ, ঘাড় ও নাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ ছিল। ##