নাগরিক রিপোর্ট : পল্লী চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে হনুফা বেগম (৩৫) নামক এক নারীর জীবন সংকটাপন্ন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪ আগষ্ট অজ্ঞান হওয়ার পর এ পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। তিনি বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে (শেবাচিম) মেডিসিন ইউনিট ৪ (মহিলা) এর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন আছেন।
হানুফা বেগম বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের লক্ষীপাশা গ্রামের বশির জমাদ্দারের স্ত্রী। হনুফার ভাই আল মামুন এ ঘটনায় পটুয়াখালী থানায় পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আল মামুন জানান, তার বাবা ও বোন অসুস্থবোধ করলে গত ৩০ জুলাই পাশ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক গোড়াচাঁদ শীল খোকনের কাছে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। তিনি কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ব্যবস্থাপত্রে ১৫ প্রকারের ওষুধ লিখে দেন। ওষুধ খাওয়ার পর দুজনেই আরও অসুস্থ হয়ে পরে। আশংকাজনক অবস্থায় ৪ আগস্ট তাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাবা শাওজাহান খন্দকার কিছুটা সুস্থ হয়ে হলেও বোনের এখন পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি।
শেবাচিম হাসপাতালের মহিলা মেডিসন ইউনিট-৪ এর কর্মরত এক চিকিৎসক জানান, হনুফাকে গত ৪ অগস্ট আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেবাচিমে ভর্তি হয়েছে। ডায়াবেটিকের ওষুধ সেবনের কারণে তার সুগারের মাত্রা নেমে গেছে। ভর্তির পর তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার জ্ঞান ফেরেনি। চিকিৎকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক গোড়াচাঁদ শীল খোকন বলেন, রোগী তার কাছে আনা হয়েছিল খারাপ অবস্থায়। খুটিনাটি সব দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। এতে কোন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তার দেয়া চিকিৎসা সঠিক বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা দেয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।##