নাগরিক রিপোর্ট : ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন কেমিষ্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বরিশাল শাখার কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছেন দুইপক্ষ। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক সভাপতি মফিজুল ইসলাম কামালের অভিযোগ, এডহক কমিটির দাবীদার নেতৃবৃন্দ সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর আশির্বাদপূষ্ট। এডহক কমিটির নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার সম্মেলন করে বলেছেন, মফিজুল ইসলাম কামাল সংগঠনের ১০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। ওই টাকা ফেরত না দেয়ার অজুহাত হিসাবে তিনি আবোল-তাবোল বলছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুস সালাম জানান, গত ২২ অক্টোবর কেমিষ্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বরিশাল শাখার ৬ মাস মেয়াদী এডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তার আগের কমিটি বাতিলের চিঠি দেয়া হয় সদ্য সাবেক সভাপতি কামালকে। এডহক কমিটি গত ২৩ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহন সভায় কামালকে আমন্ত্রন জানানোর জন্য ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে সাবেক সভাপতি মফিজুল ইসলাম কামাল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, নতুন কমিটির ব্যাপারে তিনি কিছুৃই জানেন না। সভপতি দাবীদার সিটি কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান হিরু সংগঠনের অবৈতনিক সাধারন সম্পাদক থাকাবস্থায় ১৩ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ অভিযোগে তাকে ১৯৯৯ সালে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি আক্তারুজ্জামান হিরু বলেন, বর্তমান কমিটি গঠনের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। বরঞ্চ সাবেক সভাপতি কামাল বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের ১০ লাখ টাকা ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে তুলে আত্মসাত করেছেন। সবকিছু যাচাইবাছাই করে আগের কমিটি বাতিল করে নতুন এডহক কমিটি দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সাবেক সভাপতি মফিজুল ইসলাম কামালের আপন ভাগ্নে। মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। বর্তমান কমিটি মেয়রের আশির্বাদপুষ্ট- কামালের এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে চাইলে নেতৃবৃন্দ বলেন, কমিটি গঠনের সঙ্গে মেয়রের কোন সম্পর্ক নেই। বরিশালের একজন অভিবাবক হিসাবে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ মেয়রকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন।
বরিশালের কমিটি নিয়ে দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জানতে কেমিষ্টস অ্যান্ড ড্রাগিষ্টস্ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহজালাল বাচ্চুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।