নাগরিক রিপোর্ট: চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের বাণিজ্যে খাত বিপদে পড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানায়, চীনের পণ্য ব্যবহার করে না দেশে এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক সব ঘরেই ব্যবহার হয় চীন থেকে আনা পণ্য। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে স্থবির চীনের জনজীবন। বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন; আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। খোলা হচ্ছে না নতুন ঋণপত্র। এমন অবস্থায় দেশে তৈরি হচ্ছে পণ্যের সংকট। ভোগ্যপণ্যের দাম এরই মধ্যে বেড়েছে। গার্মেন্ট শিল্পের কাঁচামাল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। তবে, বিকল্প বাজারের খোঁজ করছে সরকার।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহকারী মহাসচিব আল মামুন মৃধা জানান, চীন থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল বেশি আসে। এছাড়া ভোগ্যপণ্য বিশেষ করে মশলা এবং ফলও আমদানি করে বাংলাদেশ। তাই আমদানি চীন নির্ভরশীলতায় রপ্তানিতে সংকট হলে বিশাল চাহিদার বাজারে পণ্যে সংকট তৈরি হতে পারে। তবে, চীন সক্ষম একটি দেশ। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমলে তারা দ্বিগুণ উৎপাদন করে চাহিদার জোগান দেয়ার চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে আমাদেরও আমদানির সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
দাম বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের : ভোক্তার অতি প্রয়োজনীয় পণ্য রসুন। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, টিসিবির হিসাব বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে এই পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। শুধু রসুনই নয়, বেড়েছে আদার দামও। কয়েক দিনে কেজিতে এই পণ্যের দাম বেড়েছে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের সরবরাহেও টান পড়েছে। অর্থাৎ দেশে পেঁয়াজের সংকটকালীন সময়ে চীন থেকে আনা হয় পেঁয়াজ। আমদানিতে স্থবিরতা তৈরি হওয়ায় পেঁয়াজের বাজারেও সংকট তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ মশলাজাতীয় পণ্যের দামই তেজি। দেশীয় জোগান কম থাকায় আমদানি মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা হয় জোগান। আর আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গন্তব্য চীন। তবে দেশটির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতায় হু হু করে বাড়ছে দাম।