সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা ১ জুলাই থেকে পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত

Spread the love


নাগরিক রিপোর্ট : পর্যটন কেন্দ্র সাগর সৈকত কুয়াকাটা টানা ৯৯ দিন পর পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত হচ্ছে। সেখানকার হোটেল-মোটেলসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগামী ১ জুলাই থেকে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। তবে এজন্য প্রশাসন থেকে বেঁধে দেয়া হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। এগুলো মেনে চলা এবং পর্যটকদের মানতে বাধ্য করার জন্য হোটেল-মোটেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া হয়েছে ৩ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ।
কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে কুয়াকাটায় সকল ব্যবসা বানিজ্য পরিচালিত হবে। পর্যটকদের সেখানে যেতে কোন বাঁধা থাকবেনা। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন করোনাভাইরাস সংক্রামন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাঁদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনা বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এগুলো মেনেই তারা ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করবেন।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, একজন পর্যটক আসলে প্রথমে নির্দিষ্ট পোষাকে সজ্জিত হোটেল কর্মীরা গেস্টকে গাড়ীসহ মালামাল, শরীর, জীবানুনাশক স্প্রে করে নিবে। হাত-পা ওয়াশ করানোর ব্যবস্থাসহ স্যানেটাইজার ব্যবহার করে হোটেল অভ্যন্তরে নেয়া হবে। কক্ষ আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিগণ একই কক্ষে অবস্থান করবেন। এছাড়া পর্যটন এলাকার ভ্যান, অটো, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন ব্যবহারের আগে জীবানুনাশক স্প্রে করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। যানবাহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করবে। বীচে বেঞ্চিতে অবস্থানকালেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
করোনাকালীন হোটেল মোটেল ব্যবস্থাপনার ওপর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রশিক্ষণের ফলে কুয়াকাটায় পর্যটক-দর্শনার্থীরা নিরাপদে ভ্রমন করতে পারবেন বলে হোটেল-মোটেল এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষের দাবি। তারা জানান, তারা খাবার হোটেল মালিক-কর্মচারী, এবং ভ্যান-অটো, মোটরসাইকেল চালকদের নিয়েও তারা করোনাকালীন প্রতিরোধকমুলক সভা-সেমিনার করেছেন। কুয়াকাটায় প্রায় ১২০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
এদিকে কুয়াকাটা সৈকতে বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার রয়েছে অন্তত ২০০ জন। তাদের অধিকাংশের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালীমহল এখনই পাঁচ-দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। কুয়াকাটায় আসা পর্যটক দর্শনার্থীর ছবি তুলে জীবন-জীবিকা চালানো এ মানুষগুলো কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আর কুয়াকাটায় কোন ধরনের চাঁদাবাজি চললে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *