সৈয়দ জুয়েলঃ বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশীদের যে কোন সাফল্যই দেশের সুনাম বয়ে আনার পাশাপাশি জাগ্রত হয়- বাংলাদেশীদের সরব পদচারনায় মুখরিত হচ্ছে বিদেশের মাটিও। ধীরে ধীরে আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় রাজনীতির মাঠে সরব হচ্ছেন বেশ কিছু বাঙ্গালী। ২০০৪ থেকে ফিনেফলের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ঢাকার গাজীপুর থেকে উঠে আসা আজাদ তালুকদার। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২০১৯ সালে মাইগ্রান্ট কমিউনিটি থেকে ফিনেফলের হয়ে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন এই তরুন কাউন্সিলর। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে লিমরিক সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের সাথেও গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব আর শ্রদ্ধার সম্পর্ক।
ফিনেফলের কেন্দ্রীয় নেতারাও তার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেছেন নানান উপায়ে। তারই ধারাবহিকতায় কিছুদিন পূর্বে প্রথম বারের মত আইরিশ পার্লামেন্টে আজাদ তালুকদারের নামের সাথে বাংলাদেশের নামটিও উচ্চারন হয়েছিলো ভাল কাজের উপহার হিসেবে। সুন্দর এক স্বপ্ন,সাথে কঠোর পরিশ্রম থাকলে যে কোন মহত লক্ষ্যে পৌছতে খুব বেশি দেরি হয়না বোধহয়,যেমনটি হয়েছে আজাদ তালুকদারের। গত বছরে কাউন্সিলর,আর এ বছরেই ডেপুটি মেয়র হলেন তিনি। গতকাল ছিল লিমরিক সিটি কাউন্সিলের এ নির্বাচন।
নির্বাচনে বেশ ভাল ব্যাবধানেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে আনলো আজাদ তালুকদার। সাথে ইতিহাসেরও স্বাক্ষী হয়ে রইলেন। আয়ারল্যান্ডের রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের এটাই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সাফল্য। আগামী দিনে আইরিশ রাজনীতিতে আরো গুরত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশীদের প্রবেশে এ জয় সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন বলে মত প্রকাশ করেন এখানের বাংলাদেশীরা।
২০২০-০৭-০১