নাগরিক ডেস্ক : সাহেদ করিমের বিলাসবহুল অফিসে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তার অফিসকক্ষে ডিজিটাল পাসওয়ার্ডসংবলিত ডোর ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় ছয়জন গানম্যান সবসময় তিনি সঙ্গী হিসেবে রাখতেন।
নিরাপত্তাকর্মীরা ওয়াকিটকিসহ নানা ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করতেন। সাহেদের দামি গাড়িতে শোভা পেত ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড। তার সব অস্ত্রের লাইসেন্স নেই। ওয়াকিটকি ব্যবহারের বৈধ অনুমতিপত্রও নেই সাহেদের।
র্যাব কর্মকর্তাদের ধারণা, নিজে প্রতারণাসহ নানা অপরাধ-কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে অর্থ উপার্জন করতেন সাহেদ। তাই ভয় থেকে বাড়তি নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
রিজেন্ট গ্রুপে র্যাবের অভিযান
গত সোমবার রাজধানীর উত্তরার কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালেও অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনাকালে উঠে আসে রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের ভয়াবহ সব তথ্য। পরীক্ষা না করেই দেওয়া হতো করোনা পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট। পরে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব।
গতকাল বুধবার বিকেলে টেস্ট না করে রিপোর্ট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখার পর এবার মিরপুর শাখাও সিলগালা করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা এবং মিরপুর শাখার সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও। গত সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা এবং প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে র্যাব। রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর শাখাও সিলগাল করে দেওয়া হয়েছে। সিলগালা করার আগের দিন এই হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাহেদ করিমের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। সেখানে তাদের করিম সুপার মার্কেট নামের একটি বিপণিবিতান ছিল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। তবে মাঝে মাঝে সাতক্ষীরায় যেতেন। তার মা সাফিয়া করিম ২০০৬-০৭ সালের দিকে স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।