অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পরীক্ষার ফল আজ

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস রুখতে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল সোমবার প্রকাশিত হবে। চিকিৎসাবিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল ল্যানসেটে তা প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এদিকে, এরই মধ্যে বড় আকারে মানবদেহে পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটির। এই ধাপে ভ্যাকসিনটি করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে কিনা তা নিশ্চিত হবেন গবেষকরা। তবে উদ্ভাবকরা এখনো প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেননি।
এ ব্যাপারে ল্যানসেটের এক মুখপাত্র জানান, আমরা আশা করছি চূড়ান্ত সম্পাদনা ও প্রস্তুতিতে থাকা প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশিত হবে। প্রতিবেদনটি জরুরি ভিত্তিতে প্রকাশ করা হচ্ছে।

ভ্যাকসিনটির উদ্ভাবকরা এই মাসের শুরুতে জানিয়েছিলেন, মানবদেহে চালানো পরীক্ষার ফলাফলে তাঁরা আশাবাদী। প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল জুলাই মাসের শেষের দিকে প্রকাশিত হবে। মানবদেহে পরীক্ষার আগে শূকরের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। এতে দেখা গেছে, এক ডোজের চেয়ে দুই ডোজ প্রদান করলে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি অন্তত ছয়টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি (আইএমবিসিএএমএস) তাদের তৈরি একটি দ্বিতীয় দফায় মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। আইএমবিসিএএমএসের এই ভ্যাকসিনটি চীনের তৈরি ছয়টি ভ্যাকসিনের একটি। এদিকে, মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ তিনজন চীনা সাংবাদিকের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কিছু কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে চীন। চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের (সিএনবিজি) তৈরি এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর আগে দেশটির যেসব কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে যাওয়া-আসা করছেন তাদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়।

বর্তমানে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ওই কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়েছে। এখন বেইজিং শহরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে চায় চীন। ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই চীন ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পারে, সেটি জানা যায় মে মাসের শেষ দিকে। ওই সময় সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সে বিষয়ে চীনের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি থেকে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *