করোনায় যে তিনটি উপসর্গ সবচেয়ে বেশী

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভাইরাসটি শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমে আক্রমণ করে। ফ্লুর মতো লক্ষণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, পেশী ব্যথা এবং ব্যথা থেকে শুরু করে রোগীদের মধ্যে প্রচুর লক্ষণ দেখা দেয়। নির্দিষ্ট লক্ষণগুলো কেন এবং কীভাবে দেখা দেয় সে সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত প্রায় সব রোগীর তিনটি সাধারণ লক্ষণ ছিল।

করোনার তাণ্ডবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা ছাড়াও ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো দেশ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ করোনা রোগীর মধ্যে তিনটি লক্ষণ থাকে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। দেখা গেছে, আক্রান্ত দেশগুলোতে কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টই বেশি থাকে। বিভিন্ন দেশের ১৬৪ জনের স্বাস্থ্য পরমিতি বিশ্লেষণ করে এ লক্ষণগুলো পেয়েছেন গবেষকরা।

সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, প্রায় ৯৯%, অর্থাৎ সমীক্ষা করা প্রায় সব রোগীই জানিয়েছেন লক্ষণ তিনটির কথা। এর মধ্যে ৪৫% বলেছেন যে, তাদের অসুস্থতার সময় তিনটি উপসর্গ একসাথে দেখা দিয়েছিল।

কাশি

কাশি করোনাভাইরাসের সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ হিসেবে দেখা গেছে। করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণ ঠাণ্ডা বা ফ্লুর মতো শুরু হয়, তবে শুকনো কাশি দেখা দিলে সেটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। জরিপকৃতদের মধ্যে ৮০% শুকনো কাশির উপস্থিতি তাদের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে রেকর্ড করেছেন।
জ্বর

করোনাভাইরাস রোগীদের মধ্যে প্রচলিত দ্বিতীয় সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর। সম্ভবত প্রদাহের ফলে এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিন পরে এটি দেখা দিতে পারে। জ্বর অনেকরকম সংক্রমণের কারণে হতে পরে, তাই তিনদিনের বেশি জ্বরে ভুগলে এবং তা যদি ১০০ ডিগ্রির বেশি হয় তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

শ্বাসকষ্ট

শ্বাসকষ্ট বা অস্থিরতা বোধ করা সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের রেকর্ড করা তৃতীয় সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ ছিল। তবে, গবেষণা অনুসারে সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে লক্ষণটি বেশি দেখা গিয়েছিল।

এ ছাড়া পেশী ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, মাথাব্যথা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোও করোনার অন্যতম লক্ষণ। তবে, গবেষণা বলছে কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টই করোনা রোগের মূল কারণ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *