নাগরিক রিপোর্ট: পরিবহন শ্রমিককে মারধর করে ২ লাখ ৪৩ হাজার ছিনতাই মামলার আসামী বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক টেম্পু শ্রমিক নেতা কামাল হোসেন লিটন মোল্লার পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসেছিলেন কতিপয় পরিবহন শ্রমিক। লিটন মোল্লার নানান অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নে তোপের মুখে পড়েন সাংবাদিক সম্মেলনের ওই আয়োজকরা। এক পর্যায়ে লিটন মোল্লার আশ্রিত কথিত ‘সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ’ সভাপতি নাজমুল হোসেন সংবাদিক সম্মেলন থেকে দ্রæত পালিয়ে যান।
দুরাপাল্লা রুটের পরিবহন শ্রমিকরা বরিশাল প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার রানা হাওলাদার তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা নানান অপপকর্মের কারনে বরিশাল নগরী ও সংলগ্ন বাবুগঞ্জ উপজেলায় বিতর্কিত। তিনি বরিশাল জেলা টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। গত ফেব্রæয়ারীতে অদৃশ্য শক্তির জোরে তৎকালীন নিয়ন্ত্রক মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি আফতাব হোসেনকে হটিয়ে বাস টর্মিনালের নিয়ন্ত্রন নেন লিটন মোল্লা। এরপর থেকে তার আদেশ-নির্দেশ বাস টার্মিনালে সবকিছু চলছে।
প্রতিটি দুরপাল্লা রুটের পরিবহন কাউন্টার থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা মাসোহারা নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। গোল্ডেন লাইন পরিবহন কোম্পানীর বরিশাল কাউন্টার ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম অভিযোগ, করোনা সংকটে পরিবহন বন্ধবাস্থায় মাসোহারা দিতে না পারায় গত শুক্রবার রাতে তাকে মারধর করে ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে লিটন মোল্লার সহযোগীরা। এ ঘটনায় লিটন মোল্লাকে প্রধান আসামী করে তার ১১ সহযোগীর বিরুদ্ধে বিমান বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
টার্মিনালের বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেছে, গত রোববার লিটন মোল্লার অনুগতরা বাস টার্মিনালে মানববন্ধন ডেকে সাধারন শ্রমিকদের অংশগ্রহনে বাধ্য করেছিল। মঙ্গলবার দুরপ্লাল্লা রুটের পরিবহন শ্রমিকদের দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করানো হয়। তারা সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, ‘লিটন মোল্লা ও তার লোকজন চাঁদাবাজী করেন না, মামলাটি মিথ্যা। তিনি পরিবহন শ্রমিক ও টেম্পু শ্রমিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরী করে টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন’।
বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে কেন নেই, ছিনতাই মামলার আসামীদের ৬ জন একটি গণধর্ষনসহ আরো অনেক মামলার আসামী, লিটন মোল্লাও একসময় গণধর্ষন মামলার আসামী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, জমি দখলের সুনির্দিষ্ট অসংখ্য অভিযোগ আছে, দখল করা কাউন্টারে সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ নামক ভূয়া সংগঠনের কার্যালয় কেন?- সাংবাদিকদের এমন সব প্রশ্নের মুখে বিব্রত হয়ে পড়েন সাংবাদিক সম্মেললনের আয়োজকরা।