নাগরিক রিপোর্ট : ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে হঠাৎ বিদায় বলে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার কিছু সময় পর আসলো আরেকটি ঘোষণা, অবসর নিয়েছেন সুরেশ রায়নাও। একই দিনে ভারতের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন সিদ্ধান্ত, পেছনে কোনো কারণ আছে কি?
ধোনির সঙ্গে রায়নার ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকেই জানেন। বেশিরভাগই এমন ঘোষণার পর ধরে নিয়েছেন, ধোনির অবসরের ঘোষণাটা মানতে পারেননি রায়না, অতি ঘনিষ্ঠতার কারণেই বিদায়ের রাস্তাটাতেও একসঙ্গেই চলতে চেয়েছেন দুজন।
জাতীয় দলে ধোনি অধিনায়ক থাকার সময় অনেকবারই রায়নাকে বাদ পড়া থেকে বাঁচিয়েছেন, এমন খবর শোনা যায়। আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসেও ধোনির সঙ্গে রায়নার জুটিটা দীর্ঘদিনের। দুজন যেন ‘হরিহর আত্মা’।
তবে এসব কিছু নয়। তাদের একসঙ্গে বিদায় বলার পেছনের কারণটা একটু অন্যরকম। সুরেশ রায়নাই ফাঁস করলেন সেই রহস্যটা। অবসর ঘোষণার পেছনে কারণ হিসেবে জড়িয়ে আছে ভারতের স্বাধীনতা দিবসও। হ্যাঁ, ঘোষণাটা আচমকা দিলেও হিসেব-নিকেশ করে তবেই অবসরে গেছেন ধোনি-রায়না।
ভারতের দৈনিক জাগরণের সঙ্গে আলাপে রায়না বলেন, ‘আমরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম শনিবার (১৫ আগস্ট) অবসর নেব। ধোনির জার্সি নম্বর ৭, আমার ৩-একসঙ্গে করলে হয় ৭৩। আর ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতার ৭৩ বছর পার করেছে। তাই এর চেয়ে ভালো দিন আর হতে পারতো না!’
ধোনির বয়স ৩৯ পেরিয়েছে। রায়নার ৩৩। চাইলে আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারতেন রায়না। তবে প্রিয় অধিনায়কের পথে একইসঙ্গে হাঁটার সুযোগটা মিস করতে চাননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
রায়না বলেন, ‘ধোনি তার ক্যারিয়ার শুরু করে চট্টগ্রামে ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে। আমার অভিষেক হয় ২০০৫ সালের ৩০ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আমরা প্রায় একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করি। চেন্নাই সুপার কিংসেও আমরা একসঙ্গে খেলি। তাই আমরা একসঙ্গেই অবসরে গেলাম, আইপিএলে একসঙ্গেই খেলা চালিয়ে যাব।’