নাগরিক ডেস্ক: অস্ত্র মামলার রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২ টার দিকে রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সাহেদকে আদালতে আনা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেছিলেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’ দাবি করে ন্যায়বিচার চান সাহেদ করিম। ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতের কাছে সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
একদিন আগে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুলের সাক্ষগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে তিন ধাপে ১১ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
করোনা ভাইরাস নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট জালিয়াতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ৭ জুলাই সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়। শুরুতে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে দেয়া হলেও পরে তা র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাহেদকেও হস্তান্তর করা হয় র্যাবে। এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা।