সড়কে প্রকাশ্যে স্ত্রীর পায়ের রগ কাটলেন স্বামী

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ : নারীপাড়া শহরের সড়কে প্রকাশ্যে স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে দিলেন স্বামী মো. রাসেল। শনিবার সকালে শহরের পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী হ্যাপি বেগম তখন রিকশায় অন্যত্র যাচ্ছিলেন। তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে বাম পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। আহত হ্যাপি বেগম বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। যৌতুকের দাবীতে স্বামী পায়ের রগ কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হ্যাপির পরিবার।
হ্যাপি জানান, ১০ বছর আগে উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের হাওরাবাড়ি এলাকায় রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের রিমি (৯) ও রাতুল (সাড়ে ৩) নামের দুই সন্তান রয়েছে।
হ্যাপি বেগম বলেন, তিন লাখ টাকার জন্য দীর্ঘদিন যাবত তাকে নির্যাতন করে আসছিলো রাসেল। স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে তাকে ৩৬ হাজার টাকা ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগলেও রাসেল তাকে চিকিৎসা করায়নি। শুক্রবার রাতে হ্যাপী চিকিৎসার জন্য স্বামীকে অনুরোধ জানালে যৌতুকের বাকী টাকার আদায় নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
গতকাল শনিবার সকালে হ্যাপি চিকিৎসার জন্য বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রওয়ানা হলে রাসেল ও তার বাবা হাসান বালী পিছু নেয়। পৌর শহরের হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় রিকশার গতিরোধ করে হ্যাপীকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে বেদম মারধর করে রাসেল। বাসা থেকে বের হওয়ার শাস্তি হিসেবে রাসেল ধারালো চাকু দিয়ে তার বাম পায়ের রগ কেটে ফেলে। এ সময় হ্যাপি ও তার শিশু পুত্রের আর্তচিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা হ্যাপিকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেলে প্রেরন করেন।
অভিযুক্ত মো. রাসেল জানান, তার স্ত্রী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত। গতকাল শনিবার সকালে হ্যাপী ব্যাগ গুছিয়ে অন্যত্র চলে যেতে থাকলে সে তার স্ত্রী’র পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। যৌতুক দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাসেল।
বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন বলেন, স্ত্রী’র পায়ের রগ কেটে দেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারী তার আগেই পালিয়ে যায়। আহত হ্যাপিকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত হ্যাপির পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়নি। ##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *