ধর্ষকদের ক্রসফায়ার এখন সময়ের দাবী

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: স্কুল,কলেজের পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম- “প্রয়োজন আইন মানেনা”। বর্তমান সময়ে যে হারে ধর্ষন বেড়ে গেছে তাতে আইনের দীর্ঘ সুত্র থেকে বেরিয়ে সহজ পথে কিছু ক্রসফায়ার জরুরী হয়ে পরায় উক্তিটি যথাযথ। জনগন দ্বারা সরকার,আর অধিকাংশ জনস্রোত যেদিকে থাকবে-সরকারি পদক্ষেপের জোয়ার সেদিকেই যাওয়া যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। অতীতে অনেক রাঘব বোয়াল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করতে হলে অনেক সন্ত্রাসীই আইনের ফাঁক ফোকর গলিয়ে বের হয়ে এখনও শীর্ষ সন্ত্রাসীই থেকে জন নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতো।

ক্রসফায়ার নামক জাদুর কাঠিতে অনেকটাই তলানিতে এখন সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম। ইদানিং ধর্ষনের ধরন দেখে কুরুচিপুর্ণ মানসিকতার সমাজ অবক্ষয়ের এক নির্মম চিত্র ফুটে উঠছে। চারিদিকে করোনায় মৃত ভয়ে যেখানে ভীত পুরো বিশ্ব,সেখানে এসব ধর্ষনের ঘটনায় বিবেকহীন এ সব নরপশুদের বেঁচে থাকা কতটা জরুরী? বেঁচে থেকেও বা তারা কি করবে? বেঁচে থাকাটা কি আদৌ তাদের জরুরী? প্রশ্ন ঘুরপাকে অস্ত্র উদ্ধারের নামে দুটো বুলেটই সহজ সমাধান। জনগনের টাকায় কেনা বুলেট নারীর সম্ভ্রম বাঁচাতে পারলে-সে বুলেট খরচে মনুষ্যত্বের দায় কিছুটা শোধ হয়। যে দেশ নারীর সন্মান রক্ষায় যত কাজ করে,সে দেশ তত উন্নত।

তাই নারীর নিরাপত্তায় সরকারকে আরো বেশি কঠোর হতে হবে। না হয় যত অর্জনই আমাদের ঝুলিতে থাকুক- অলস, অকার্যকর, ব্যার্থতার দায়ভারে ভারী হয়ে যাবে হিসেবের খাতা। স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে নারীরা হেঁটে বেড়াবে, তাদের নিরাপত্তা দেয়া করুনা নয়, এটা রাস্ট্রের দায়িত্ব। একটি ধর্ষন একটি জাতির উপর অসহায়ত্বের হোঁচট।

এ অসহায়ত্বের ভারে ধ্বংস হয়ে যেতে পারো পুরো জাতি। তাই সময় এসেছে ধর্ষন রোধে জরুরী কঠোর সিদ্ধান্তের। দেয়ালের শেষ কংক্রিটে এখন আমাদের অস্তিত্বের নড়েবরে বিদ্রুপ হাসি। নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হলে শুধু সরকার নয়, দায়ভার গিয়ে বর্তাবে পুরো জাতির উপর। ব্যার্থ রাস্ট্রের তকমা লাগলে কোন দলের কথা বলবেনা বিশ্ববাসী। এখানে পুরো দেশের জনগনের সন্মান জড়িত। অতীতের সরকারগুলোর সময় যেমন ধর্ষন হয়েছে,এখনো হচ্ছে। এখানে এক দল আরেক দলের কাঁধে বন্দুক রাখার কোন সুযোগ নেই।

তাই প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে এ জাতীয় মানসিক বিকারগস্ত ধর্ষকদের বিরুদ্ধেে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই দেশের জনগন স্বস্তিতে রাজনৈতিক দল ও দলের কর্মীদের প্রতি আগ্রহ দেখাবে। না হয় রাজনৈতিক দল ও কর্মীদের অবস্থা হবে -ঢাল নেই,তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মত। নিজেদের ঢোল নিজেরাই পেটাবেন,রাজপথে আর ভদ্র জনগন পাবেননা।

যে দেশ স্বাধীনে হাজারো নারী ইজ্জত হারিয়েছেন ভিনদেশী নরপশুদের কাছে, স্বাধীনতার পরেও নিজ দেশের নরপশুদের দ্বারা ধর্ষিত হতে হয়। স্বল্প সংখ্যার ধর্ষকদের জন্য পুরো জাতিতে আজ কলংকের তিলক। কলংক মুছতে জরুরী হয়ে পরেছে কিছু বন্দুক যুদ্ধের। পুরো জাতি আজ তাকিয়ে আছে বন্দুক যুদ্ধে কিছু ধর্ষকদের লাশ দেখতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *