প্রতি সেকেন্ডে একটি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে বিশ্বে

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মৃতশিশু জন্মগ্রহণ করে। এই হিসাবে প্রতি ১৬ সেকেন্ডে একটি মৃতশিশু ভূমিষ্ঠ হয় পৃথিবীতে। কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় সামনে পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। প্রথমবারের মতো ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ, জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্সের পপুলেশন ডিভিশন যৌথভাবে প্রকাশিত ‘এ নেগলেক্টেড ট্রাজেডি: দ্য গ্লোবাল বারডেন অব স্টিলবার্থ’ শীর্ষক এক রিপোর্টে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক এবং জেনেভা থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এতে আরো বলা হয়েছে, মৃত শিশুদের মধ্যে শতকরা ৮৪ ভাগ জন্ম নেয় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। ২০১৯ সালে প্রতি ৪টি মৃত শিশুর মধ্যে ৩টির জন্ম হয়েছে সাব সাহারান আফ্রিকা বা দক্ষিণ এশিয়ায়।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোরে বলেছেন, জন্মের সময় একটি শিশুকে হারানো বা গর্ভাবস্থায় হারানো- একটি পরিবারের জন্য ভয়াবহ এক ট্রাজেডি।
তবুও তা নীরবে সহ্য করতে হয়। সারা বিশ্বে এমন ঘটনা ঘন ঘন ঘটছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি ১৬ সেকেন্ডে একজন মা এমন মৃত সন্তান জন্ম দিয়ে অব্যক্ত যন্ত্রণা, ট্রাজেডিতে ভুগছেন। জীবনহানীর বাইরেও এতে নারীদের, পরিবারের এবং সমাজের জন্য মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি ভয়াবহ এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এসব মায়ের জন্য এমনটা হওয়া উচিত ছিল না। উচ্চমাত্রার নজরদারি, যথাযথ যতœ নেয়া এবং দক্ষ ধাত্রীর উপস্থিতিতে এসব শিশুর অনেককে রক্ষা করা যেতে পারে।

ওই রিপোর্টে আরো সতর্ক করা হয়েছে যে, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বে মৃতশিশু জন্মের ঘটনা আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। করোনা মহামারির কারণে শতকরা ৫০ ভাগ স্বাস্থ্যসেবা কমিয়ে দেয়ার ফলে ১১৭টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ১২ মাস বা এক বছরে অতিরিক্ত দুই লাখ মৃতশিশু জন্ম নিতে পারে। ফলে মৃতশিশু জন্মের হার শতকরা ১১.১ ভাগ বেড়ে যেতে পারে। এই রিপোর্টের জন্য জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা গবেষণা করেছেন। তাতে দেখা গেছে, ১৩ টি দেশে ১২ মাস সময়ে শতকরা ২০ ভাগ হারে মৃত শিশু জন্ম বৃদ্ধি পেতে পারে বা অধিক মৃত শিশু জন্ম নিতে পারে। মায়ের গর্ভকালীন সময়ে এবং শিশুর জন্মের সময় দুর্বল যতেœর জন্য বেশির ভাগ শিশু মৃত জন্মগ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *