নাগরিক রিপোর্ট: গনমাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বরিশালের পেশাদার সাংবাদিকরা বলেছেন, সাংবাদিকতার পথ পিষে পিষে একজন প্রকৃত সংবাদকর্মীকে এগিয়ে যেতে হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে যখন অনুপ্রবেশকারীরা গনমাধ্যমের বড় বড় পদ দখল করে সমাজে সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে তখন বড় লজ্জা হয়। বক্তরা বলেন, সংবাদপত্র মানুষের কাছ থেকে দুরে সরে গেলে কেন তা পড়বে। এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে প্রজন্মকে সত্য লিখতে দিতে হবে।
শনিবার বরিশালে আঞ্চলিক সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার কার্যকর মানোন্নয়নে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন গনমাধ্যমের পেশাদার সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন। নগরীর বিডিএস মিলনায়তনে বরিশাল প্রকাশক ও সম্পাদক পরিষদ নেতৃবৃন্দ এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন।
সংগঠনের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ এবং সাধারন সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষপাটে সাংবাদিকতার অর্থবহ মনোন্নয়ন কঠিন। নতুন প্রজন্মকে এই কঠিনকে জয় করে সাংবাকিতা পেশাকে রক্ষা করতে হবে। সাংবাদিকরা আক্ষেপ করে বলেন, বরিশালে ৫০০ সাংবাদিক থাকতে পারে। মানুষ তাদের কেমনভাবে চেনেন-জানেন তা ভাবতে কস্ট হয়। এ অবস্থা থেকে উঠে আসতে বরিশালের সাংবাদিকদের অপেশাদার, অনুপ্রবেশকারীদের ছায়াতল থেকে বেড়িয়ে আসার আহবান জানান তারা।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক দৈনিক বিপ্লবি বাংলাদেশ এর প্রকাশক ও সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, প্রবীন সাংবাদিক এস এম ইকবাল, মো. ইসমাইল হোসেন নেগাবান, আনিচুর রহমান, কাজী মকবুল হোসেন, সৈয়দ দুলাল, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক স্বপন খন্দকার, দৈনিক ইনকিলাবের বরিশাল অফিস প্রধান মো: নাসিম উল আলম, ইনডেপেনডেন্ট টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মুরাদ আহমেদ, চ্যানেল আই এর শাহিনা আজমিন, সময় টেলিভিশনের ফেরদৌস সোহাগ, কালের কন্ঠের রফিকুল ইসলাম, প্রথম আলোর জসিম উদ্দিন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের গিয়াস উদ্দিন সুমন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাহাত খান, আলোকিত বাংলাদেশের ব্যুরো চীফ খান রফিক, ইত্তেফাকের শাহিন হাফিজ, নয়াদিগন্তের আজাদ আলাউদ্দিন, বনিক বার্তার এম মিরাজ হোসাইন, বাংলাভিশনের শাহিন হাসান, দিপ্ত টেলিভিশনের মর্তুজা জুয়েল প্রমূখ।