বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহরের মধ্যে অনুমোদহীন কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন করা হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মরহুম আব্দুর রব মৃধার চালের মিলের পাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া আরেকটি চালের মিলে কারখানাটি স্থাপন করা হয়েছে। বন্ধ চালের মিলের মালিক মরহুম শাহশের আলী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে মৃত শাহশের আলীর ভাই মো.শাহজাহানের কাছ থেকে চালের মিলটি ভাড়া নেন পলিথিন কারখানার মালিকপক্ষ। তবে স্থানীয় লোকজন কারখানার মালিককে কখনো দেখেননি। তাদের নিযুক্ত কর্মচারী মিজানুর রহমান সর্বাক্ষনিক উপস্থিত থেকে সবকিছু দেখভাল করছেন।
স্থানীয়রা জানান, মিলঘরটির সামনের দরজা সবসময় তালাবদ্ধ রাখা হয়। রাতে পেছনের দরজা দিয়ে শ্রমিকরা ঢুকে মেশিনে পলিথিন উৎপাদন করেন। মাঝে মাঝে দিনেও বন্ধ ঘরের মধ্যে পলিথিন উৎপাদন হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কারখানা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মালিকপক্ষের নিযুক্ত কর্মচারী মো. মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একমাস আগে তারা পলিথিন উৎপাদন শুরু করেছেন। প্রতিদিন ১০০-১৫০ পাউন্ড পলিথিন উৎপাদন করা হয়। তিনি জানান, পলিথিন উৎপাদন কারখানার মালিক ৩ জন। তারা সকলে ঢাকায় থাকেন। তবে তাদের মুঠোফোনের নম্বর ও নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানান কর্মচারী মিজান।
চাল মিল ঘরের মালিক মো. শাহজাহানের ছেলে আব্দুল কাদের বলেন, দুইমাস আগে তাদের আত্মীয় জিয়াউর রহমান ও শাহীন হাওলাদার মিল ঘরটি ভাড়া নিয়েছেন। তারা ঢাকায় থাকেন। প্যাকেজিং কারখানা করার কথা বলে মিল ঘর ভাড়া নিয়েছেন তারা। সেখানে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করা হয় কি-না এ বিষয়ে তিনি (কাদের) কিছু জানেন না। পলিথিন কারখানার মালিক জিয়াউর রহমান ও শাহীন হাওলাদারে মুঠোফোন নম্বর দিতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ বলেন, বানারীপাড়া শহরের মধ্যে পলিথিন উৎপাদনের একটি কারখানা রয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। বানারীপাড়ায় এ ধরনের কোন কারখানায় গড়ে উঠেছে কি-না বিষয়টি তিনি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন।##
২০২০-১০-২৬