নেতারাই নেতা তৈরি করেনা!

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: রাজার নীতি থেকে রাজনীতিবিদরা অনেক আগেই সরে এসেছে। কিছু কিছু রাজনীতিবিদ এখনো নীতি, আদর্শ আগলে রেখে জনগনের জন্য রাজনীতি করে যাচ্ছেন, তাই এখনো টিকে আছে এ শিল্প। শিল্প বলায় হয়তো অনেক রাজনৈতিক কর্মীরা অসন্তুস্ট হবেন, বা হতাশ হবেন। যদি আপনি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হন, আপনি যে দলের কর্মীই হন না কেন রাজনীতি যে এখন বড় এক বিনিয়োগের মাধ্যম, তা স্বীকার করবেনই।

একটু অতীতের রাজনীতির ইতিহাস যদি আপনি দেখেন- যেখানে মাওলানা ভাষানী, শেখ মুজিবর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, একে ফজলুল হকের মত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা যে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছে, সে রাজনীতির আদর্শ কি আজকের রাজনীতিবিদদের মাঝে বাস করে! স্বাধীনতার এত বছরে তাদের মত ত্যাগী একজন নেতাও কি জাতি পেয়েছে?


কেন পায়নি! নেতারা পরবর্তী নেতা সৃস্টি করতে কতটা আগ্রহ দেখিয়েছে,তারা কি আদৌ পরবর্তী নেতা তৈরিতে ইচ্ছুক! আবার- সরকারী,বেসরকারী পর্যায়ে একটি নির্ধারিত বয়সে অবসরে যাওয়ার বিধান থাকলেও,রাজনীতিতে নেই কোন অবসর,তরুন রাজনীতিবিদরাও তাই পারছেনা বড় রাজনীতিবিদের তকমা লাগাতে। গ্রামের মেম্বার,চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে শীর্ষ রাজনীতিবিদদের মাঝে গরীব কোন রাজনীতিবিদ তেমন নেই বললেই চলে, নির্বাচিত হওয়ার আগে যতটুকু অর্থ কস্ট থাকে,নির্বাচিত হওয়ার পর পাল্টে যায় তাদের পুরো জীবন যাত্রা। এদেরকে যারা বানায়,তারাও আবার এদের তোষামোদি করে বিত্ত বৈভের মালিক হন নিমিষেই।

টেন্ডার বাজি, জমি দখল, সরকারি সম্পত্তি আত্নসাত থেকে শুরু করে সব কিছুতেই এদের নগ্ন থাবায় ভারী হয় তাদের পকেট। এ সব সুবিধাবাদী রাজনিতিবিদের জন্য হারিয়ে যেতে বসেছে ত্যাগী নেতা কর্মীরা।অভিযোগ আছে- দলীয় পদ, পদবী, মনোয়ন নিয়েও চলে রমরমা বানিজ্য। এতে করেও হারিয়ে যায় অনেক আদর্শিক কর্মী। রাজনীতি যদি সত্যিকারের জনগনের জন্যেই হয়ে থাকে, তাহলে তৃনমূল পর্যায় থেকে ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন থেকে শুরু করে নিয়ে আসতে হবে মূল নেতৃত্বে,না হয় হারিয়ে যাবে গৌরবোজ্জ্বল রাজনীতির ইতিহাস।

গনতান্ত্রিক দেশে রাজনীতিবিদরাই যেহেতু দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজে মূল ভূমিকা পালন করবে,তাই সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হলে সু্স্থ মানসিকতার রাজনীতিবিদ তৈরিতে কাজ করতে হবে এখনই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *