একটি পদ্মা সেতু ও দূর্বল রাজনীতি

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্না সেতুর কাজ এখন শেষের দিকে। সেতু তৈরিতে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলেও থেমে থাকেনি সরকার। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের এ সেতু তৈরিতে- বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকারকে দেশপ্রেমিক নাগরিকরা অবশ্যই সাধুবাদ জানায় প্রকাশ্যে অথবা অপ্রকাশ্যে। অন্তর্জ্বলা নাগরিক বা বিরোধিতার খাতিরে যারা বিরোধিতা করেন, তাদের এ সেতু নিয়ে হাজারো কথা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।

আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর সুস্থ গনতন্ত্রের চর্চা শূন্যের কোঠায়, তাই একে অপরের ভাল কাজগুলোর গুন কীর্তন করার মানসিকতাও গড়ে ওঠেনি। সে পারলো,আমি কেন পারলামনা! এই অপরাধবোধ ঢাকতে হিংস্র হয়ে সত্য, মিথ্যা,আর কল্প কথায় বিঁষিয়ে তুলতে চায় জনমনে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর এই পুরানো কৌশল-একবিংশ শতাব্দীতে বড়ই অচল। পদ্মা সেতু তৈরিতে বাংলাদেশের অবহেলিত দক্ষিনান্চল জেগে উঠবে অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে। যে ২১ টি জেলা সরাসরি উপকৃত হবে, এর সুফল পাবে পুরো দেশ। আজ অনেক দলই পদ্না সেতু নির্মান নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন, প্রকল্পের দূর্নীতি নিয়েও অনেকে কথা বলেন।

দূর্নীতি আমাদের কোন আমলে ছিলনা! ধোয়া তুলশী পাতার রাজনীতি আদৌ কেউ করেন? আজ পদ্না সেতু তৈরিতে বিরোধী দলগুলো সরকারকে ধন্যবাদ দিলে,আগামী দিনে বিরোধীরা যখন সরকারি দলে আসবে,তখন তারাও তাদের ভাল কাজের স্বীকৃতি বিরোধী দলরা দিবে। এভাবেই তৈরি হবে এক সভ্য রাজনীতির চর্চা। দেশটি আওয়ামিলীগেরও নয় বিএনপি বা অন্য দলগুলোরও নয়। বিশ্বে অনেক রাজনৈতিক দলই হারিয়ে গেছে, কিন্তু দেশ হারিয়ে যায়নি। রাজনীতির মাঠে একটু খারাপ খেললে আপনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করতে-হাইকমান্ড একটুও দেরি করবেনা, কিন্তু দেশ আপনাকে আগলে রাখবে।

তাই দেশের যে কোন উন্নয়নে রাজনীতির মন্দ গন্ধ না খুঁজে এগিয়ে আসুন নতুন স্লোগানে। আমরা সরকারের খারাপ কাজগুলো নিয়ে যেমন প্রতিবাদের ঝর তুলবো, তেমনি ভাল কাজগুলোর প্রশংসায় এগিয়ে থাকবো সবার আগে। পদ্না সেতুর মত বড় বাজেটের প্রকল্প, আগামীর দিনে আরো বড় বাজেটের কাজকে উৎসাহ দিতে এগিয়ে গেল আরো কয়েক ধাপ। আমরা এগোতে চাই ঝরো গতিতে। দেশকে পিছিয়ে নেয়া মানে নিজেকে পিছিয়ে রাখা।

দেশ এগোলে এর প্রভাব আপনার পরিবারের মাঝেও পরবে, তাই নিজের জন্য হলেও দেশের এগিয়ে যাওয়াকে আপনার ভালবাসতেই হবে। পদ্না সেতুর মাঝ দিয়ে যখন ট্রেন,বাসের যাত্রী হয়ে আপনি ভ্রমন করবেন, দিনে নদীর সাথে সূর্যের ভালবাসা,আর রাতে চাঁদের সাথে নদীর অপরুপ মাখামাখি দেখে জানালা দিয়ে মুখটি কি সহজে লুকাবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *