`শেখ হাসিনা বলছেন, আমাকে গাছটা দাও, তারা পাতাসহ দিয়েছে’

Spread the love

নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য নিয়ে আলোচনা থামছেই না। গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেও দৃশ্যত আগের কথাতেই অনঢ় রয়েছেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, আমি নোয়াখালীর প্রসঙ্গে ওই কথা বলেছি। আমি বলেছি, সত্যিকার গণতান্ত্রিকভাবে যদি ভোট হয়, সেক্ষেত্রে নোয়াখালীতে দুই-চারজন এমপি ছাড়া বাকিরা পালানোর পথ পাবে না। দুই-একজন এমপির কারণে এখানে জনপ্রিয়তা নষ্ট হচ্ছে।’

তিনি বলেণ, ”আমার বক্তব্য হচ্ছে যে, যে গণতন্ত্র থেকে আজ মানুষ বঞ্চিত, যে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, এটা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি মনে-প্রাণে, জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন”।

”সেজন্য আমরা এই পৌরসভা থেকে শুরু করতে চাই যে আমার ভোট আমি দেব, যাকে ইচ্ছা তাকে দেবো, এটা নিশ্চিত করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছি ’’।

তাহলে এখন যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, সেগুলো কেমন হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন, জানতে চাইলে আবদুল কাদের বলছেন, ”আসলে আমাদের দেশে এখন যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, তার বেশিরভাগই অনিয়ম অতি উৎসাহীরা করছে। যেখানে যার অবস্থান আছে, দৈহিক বল আছে, যাদের সমর্থন আছে, তারাও জিতছে, কিন্তু দৈহিক বলটা অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।”

”আমার টার্গেট হচ্ছে একটাই।
সেটা হচ্ছে তিনবছর পরে আমরা আবার নির্বাচনে অবতীর্ণ হবো। এখনো তিনবছর সময় আছে। যদি আমাদের লোকজনগুলো, যারা এই অনিয়মগুলো করতেছে, তাদেরকে এটা থেকে সরানো না যায়, যদি বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে পারবো না। এটা আমার ব্যক্তিগত কথা।”

তাহলে এখন যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যে এমপিরা নির্বাচিত হয়েছেন, সেগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে হয়নি বলেই আপনার ধারণা? জানতে চাইলে তিনি বলছেন, ”অধিকাংশই হয়নি। গতবারের নির্বাচনটা অতি উৎসাহীদের হাতে ছিল। শেখ হাসিনা বলছেন, আমাকে গাছটা দাও, তারা পাতা-টাতা সহ দিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *