নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশালের গৌরনদীতে গৃহবধু মিতু বেগমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ম্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- স্বামী রাকিব সরদার ও শ্বশুর আ: রাজ্জাক সরদার। রবিবার গৌরনদী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়েরের পর তাদের আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মিতুর মরদেহ রোববার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: তৌহিদুজ্জামান জানান, গত বছরের মার্চ মাসে উপজেলার আধুনা গ্রারেম আব্বাস বেপারীর কন্যা মিতু বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার সাকোকাঠি গ্রামের আ: রাজ্জাক সরদারের ছেলে রাকিব সরদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহের জেরধরে স্বামী রাকিব ও স্ত্রী মিতুর মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাটি চলে আসছিলো। শনিবার মিতু বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসলে স্বামী ও শ্বশুর অকথ্য ভাষায় মিতুকে গালাগাল করে। এরপর মিতু বিষপান করে বলে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনে জানান।
মুমূর্ষু অবস্থায় মিতুকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনে শনিবার বিকেলের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে (মিতু) মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে স্বামী রাকিব সরদার জানায়, মিতু কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে থানার এসআই আরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মিতু’র লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই ঘটনায় নিহত মিতুর বোন রিতু খানম বাদি হয়ে মিতুর স্বামী রাকিব সরদার ও শ্বশুর আঃ রাজ্জাক সরদারকে আসামি করে রোববার সকালে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী রাকিব সরদার ও শ্বশুর আঃ রাজ্জাক সরদার কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত পিতা ও পুত্রকে রবিবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান জানান।