নাগরিক রিপোর্ট:
একমাত্র ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন বাবা আলতাফ গাজী ও মা খাদিজা বেগম। মঙ্গলবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা বলেন, হত্যা মামলায় মাত্র ২ জন আসামী গ্রেফতার হলেও তারা জামিনে মুক্ত হয়েছে। আসামীরা মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। দ্রæত বিচার কার্য শেষ করে হত্যকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন।
নগরীর আলেকান্দা রিফুজি কলোনীর বাসিন্দা আলতাফ গাজীর একমাত্র ছেলে আমির গাজীর (২৪) হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। আমির গাজী বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীর চাকুরী করতো।
একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২৬ জানুয়ারী আমির গাজীকে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। গত ২৪ মার্চ সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
আমির গাজীর পরিবারের অভিযোগ, হত্যাকারীর স্থানীয় কিশোর সন্ত্রাসী। গত ২০ জানুয়ারী আমির গাজীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায় তারা। পরে খোঁজ নিয়ে আমির গাজী জানতে পারে, নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিঅ্যান্ডবি সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে ইসলামপাড়ার মো. আসদুজ্জামান বাদশার ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলটি রয়েছে। ২৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলটি আনতে গেলে ১০-১৫ জন মিলে আমির আলীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে।
এঘটনায় আমির আলীর মা প্রথমে ৭জনকে আসামী করে বরিশাল কোতয়ালী থানায় হত্যাচেস্টা মামলা দায়ের করে। আমির আলী মৃত্যুবরন করার পর গত ৪ এপ্রিল আরও দুজনের নাম যুক্ত করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আসামীরা হচ্ছে- মো: এমরান (২২), হৃদয় (২৪), মো: রাজা (২২), মো: আবিদ (১৯), মো: মেহেদী (১৯), মো: রাফি (১৯), মো: আসাদুজ্জামান বাদশা (২৪), বনি আমিন (২৩), মো: হানিফ আকন (২৩)। এদের মধ্যে রাফি ও আসাদুজ্জামান গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে মুক্ত হয়।
বাবা আলতাফ গাজী কান্নায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ায় তার হয়ে পড়ায় তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত আমির গাজী মামাতো ভাই সুজন। আমিরের দুই বোন সহ অন্যান্য স্বজনরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।