নাগরিক রিপোর্ট:
থানায় ডেকে নিয়ে এক নারীকে যৌন হয়রানী করার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই আসাদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হলেও বিষয়টি সোমবার জানাজানি হয়। সাধারণ ডায়েরির তদন্তের জন্য থানায় ডেকে এনে এই ওই নারীকে যৌন হয়রানী করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
মামলার বাদির আইনজীবি মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মামলা দায়েরের পর এবং পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব দেয়ায় তারা বিষয়টি অভ্যন্তরীনভাবে খতিয়ে দেখছেন।
জানা গছে, মামলার বাদী নগরের সাগরদী ধানগবেষনা রোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতিবেশী শহীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মামলার একমাত্র আসামী কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আসাদুল ওই সাধারণ ডায়েরির তদন্তের জন্য বাদীকে থানায় ডাকেন। থানায় গেলে এসআই আসাদুল নানান অজুহাতে তার রুমে বাদীকে বসিয়ে রাখেন। এরপর দস্তখত গ্রহনের অযুহাতে এসআই আসাদুল বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন এবং ঘাড়ে চুমু দেন। এর প্রতিবাদ জানালে মামলার আসামী বাদীকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে এবং বিবাহ করার আশ্বাস দেন। বাদীর স্বামী ও মামলার প্রধান সাক্ষী এসে পড়লে বাদী আসামীর কবল থেকে রক্ষা পায়।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এ ঘটনার পরপরই বাদী বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে জানালে, তিনি ঘটনার বিষয়ে বিচার করবেন বলে জানায়। পাশাপাশি বিষয়টি একজন নারী এএসআই তদন্ত করবেন বলে আশ্বস্তও করেন। তবে ওই নারী কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বলে বাদি জানতে পারেন তিনি কিছুই জানেন না। অসত্য অযুহাতে কালক্ষেপন করার বিষয়টি বাদী বুঝতে পেরে থানায় লিখিত এজাহার
দিতে চাইলে তা গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায়। মামলায় থানার সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও বাদী উল্লেখ করেছেন। এব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, তার কাছে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগই করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করা যেত।