নাগরিক রিপোর্ট: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় নির্মানাধীন সেতু ভেঙ্গে পড়ায় পৌর শহরের সঙ্গে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার সকালে এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছে সেতুটির নির্মান শ্রমিকরা। সেতু ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেছেন দুই ইউনিয়নের কযেক হাজার মানুষ।
কুয়াকাটা পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোভাষী খালের ওপর ২ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৩ টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মান করছে কুয়াকাটা পৌরসভা। দুটি গার্ডারের ওপর নির্মিত সেতুটির নির্মান কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় রোববার সকালে সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সেখানে আগে একটি আয়রন সেতু ছিল। সেই সেতুটি ভেঙ্গে গিয়ে দীর্ঘদিন পরে ছিল। সেখানে গার্ডার সেতুর নির্মান কাজ শুরু করে কুয়াকাটা পৌরসভা। দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স সৈয়দ মো. সোহেল এ্যান্ড দীপ এন্টারপ্রাইজের নামে কাজটি বরাদ্দ হলেও ক্রয় সুত্রে জনৈক মামুন নামক এক ঠিকাদার সেতুর নির্মান কাজ করছিলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও সিমেন্ট কম ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।
দোভাষীপাড়ার বাসিন্দা মান্নান বলেন, সেতুটির মাঝখানে কোন পিলার দেয়া হয়নি। এতে ভেঙ্গে পড়েছে বলে তাদের ধারণা। সিপিডির লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ শফিকুল আলম বলেন, অপরিকল্পিত নকশা ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করার কারনে সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি বলেন, এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করতেন। সেতু নির্মানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যাওয়ায় ঠিকদার বা তার কোন প্রতিনিধির বক্তব্য জানা যায়নি।
কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুজ্জামান বলোন, তিনি গত ২১ জুন কুয়াকাটা পৌরসভায় যোগদান করেছেন। সেতুর নির্মাণ কাজের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। তদন্ত ছাড়া সেতু ভেঙ্গে পড়ার বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান ছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই কেন সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে তা বলতে পারবেন এ প্রকল্পের প্রকৌশলীরা। তাদেরকে এ বিষয়ে জবাব দিহিতার জন্য বলা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুুতি চলছে।##
২০২১-০৬-২৭