সিইসির অসাংবিধানিক হজ মিশন!

Spread the love

‘যার কর্ম তারে সাজে অন্য লোকে লাঠি বাজে’ বলে বাংলায় একটি প্রবচন আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার হজ মিশনে বেরিয়ে পড়ার খবর আমাদের সেই প্রবচনটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। নির্বাচনের বাইরে এমন একটি ব্যবস্থাপনার কাজে তিনি নিজে কীভাবে যুক্ত হলেন? সরকারি হজ্ব মিশনের ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত ১০ সদস্যের একজন তিনি। যারা তাঁকে যুক্ত করল, তারা কী বিবেচনায় এটা মাথায় নিলেন, সেটাও কম বড় প্রশ্ন নয়। কারণ, বছরের পর বছর নানা অদ্ভুত ঘটনা জাতীয় প্রশাসনে ঘটেছে। কিন্তু একজন সাংবিধানিক পদধারী হয়ে নির্বাচনবহির্ভূত বিষয়ে এভাবে যুক্ত হওয়া এর আগে কেউ কল্পনা করতে পেরেছেন, তা ভাবনায় আনতে পারি না।

হজব্রত পালন এবং হজের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হওয়া দুটি আলাদা বিষয়। সরকারি খরচে হজব্রত পালন মানেই জনগণের টাকায় হজ করা। শত ভাগ ভোট পড়াকে সিইসি যেমন যথার্থই ‘অস্বাভাবিক’ বলেছেন। তেমনি সরকারিভাবে তাঁর দ্বারা হজের তত্ত্বাবধান অস্বাভাবিক। নির্বাচন অস্বাভাবিক হলে তা বাতিল করার এখতিয়ার ইসির থাকে। কিন্তু অনেকেই তার কঠিন সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনা নেবেন। কিন্তু হজ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হওয়া যদি আইন ও রীতিনীতি সমর্থন না করে, তাহলে সিইসি তাঁর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারেন। এটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এটা জানার কৌতূহল সংবরণ করা কঠিন যে কার মাথা থেকে কীভাবে এমন চিন্তা বেরলো যে, দেশের সিইসিকে হজ ব্যবস্থাপনায় আনা যায়। কেউ ভাবতে পারেন, সিইসি স্বয়ং এ রকম একটি ধারণা অন্যদের মধ্যে না ছড়িয়ে দিলে অন্য কারও পক্ষেই এমন একটি আবিষ্কার করা অসম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *