কাকে বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত করছে জাপা?

Spread the love

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনটি শূন্য হওয়ায় এই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)-তে । কয়েকদিনের মধ্যে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে, দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, পার্টিতে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত-অর্থে সরকারের মনোভাব জানার পরই বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত রবিবার (১৪ জুলাই) মৃত্যুবরণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বুধবার (১৭ জুলাই) গুলশানে কুলখানি হয়েছে। জাপার নেতারা বলছেন, দলের চেয়ারম্যানের মৃত্যু-পরবর্তী আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দলীয়ভাবে এরশাদকে স্মরণ করা হবে। দলের উদ্যোগে হবে স্মরণসভা। এসব প্রয়োজনীয় বিষয় শেষ হওয়ার পরই সাংগঠনিক ও সংসদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে কিছুদিন সময় নেবে জাপার নেতৃত্ব।

জাপার প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দলটির নেতৃত্ব ও বিরোধীদলীয় নেতা ইস্যুতে দুটি ভাগ রয়েছে জাপায়। একটি অংশ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে চাইছেন বিরোধীদলীয় নেতার পদে। এই পক্ষটি এরশাদের জীবদ্দশায় ‘এরশাদবিরোধী’ অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল। আসন্ন প্রেসিডিয়ামের সভায় রওশনপন্থীরা যুক্তি তুলে ধরবেন। এই পক্ষের যুক্তি, এরশাদ জীবিত অবস্থায়ই নিজের স্ত্রীকে দশম সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এছাড়া, প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই রওশনকে গুরুত্বসহ পার্টিতে জায়গা দিয়েছেন এরশাদ। পাশাপাশি জিএম কাদের জাপায় যুক্ত হয়েছেন অনেক পরে। অভিজ্ঞতায়ও তার কমতি দেখছেন রওশনপন্থী একাধিক নেতা।

রওশনপন্থী একাধিক প্রভাবশালী নেতা এও দাবি করেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জিএম কাদের মহাজোটের মন্ত্রিসভায় থাকলেও ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে হঠাৎই অবস্থান পরিবর্তন করেন। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে এখনও আপত্তি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে রওশন এরশাদকেই নিরাপদ মনে করা হতে পারে।

প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য দাবি করেন, ‘এরশাদের মৃত্যুর পর জাপার একতা, ঐক্য একমাত্র রওশন এরশাদের দ্বারাই সম্ভব। পার্টি কে চালাবে, সেটা বড় কথা নয়। অনেক দলেই এটা হচ্ছে, যিনি প্রবীণ তাকে সামনে রেখেই দল পরিচালিত হয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত দুই বছরে পার্টিকে সময় দেননি, কিন্তু দল কিন্তু তার নামেই চলেছে। সেক্ষেত্রে রওশন এরশাদ দলে সিনিয়র। দলকে একত্রিত রাখতে চাইলে রওশনের কোনও বিকল্প নেই। এছাড়া, পারিবারিক ধারাবাহিকতার দিক থেকেও রওশনই পাওয়ার যোগ্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *