নাগরিক রিপোর্ট : গহনার লোভে হোসনে আরা বেগম বকুল (৫৫) নামক এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঝালকাঠীর রাজাপুর শহরের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক শাকিল ভূইয়াকে গ্রেফতারে পর তাকে রিমান্ডে নেয়া হলে সে পুলিশের কাছে হোসনে আরা বকুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজাপুর থানার এসআই শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শাকিল ভূঁইয়া পাঁচদিনের রিমান্ডে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার শাকিল নারায়ণগঞ্জের গোগনগর মশিনাবান্ধ গ্রামের বড় মসজিদ এলাকার শাহিন ভূঁইয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, আসামি শাকিলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, পরিত্যক্ত ঘরের চাবি এবং নিহতের বকুলের হাতের বালা ও একটি আংটির গলানো সোনার পিন্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর থানার এসআই শাহ আলম জানান, শাকিল ও তার স্ত্রী রাজাপুর বাইপাস এলাকায় ভাড়া থাকাকালে হোসনে আরা বেগম বকুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে শাকিল ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে ঝালকাঠিতে বাসা ভাড়া নেন। সেখানেও ঋণগ্রস্ত হলে ৭ আগস্ট রাজাপুর টিঅ্যান্ডটি সড়কে বকুলের বাসার পূর্ব পাশের একটি বাসায় ভাড়া নেন। একই এলাকায় থাকার সুবাদে শাকিল ও বকুলের বাসায় যাতায়াত ছিল।
এসআই শাহ আলম আরও জানান, শাকিলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য তিনি বকুলের শরীরে থাকা সোনার গহনা নেওয়ার লোভে তাকে খুনের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩ আগস্ট সন্ধ্যা রাতে বকুলের পরিত্যক্ত ঘর একজনকে ভাড়া দেওয়ার নাম করে শাকিল তাকে ডেকে নিয়ে আসেন। বকুল তালা খুলে ঘরে ঢোকার পরপরই শাকিল তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করেন এবং সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে গলা কেটে ওই মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে বুকলের শরীরের গহনা নিয়ে মৃতদেহ ঘরে তালাবন্ধ করে রাতেই নারায়ণগঞ্জ পালিয়ে যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার সময় লঞ্চে বসেই বকুলের মোবাইল ফোন নদীতে ফেলে দেন শাকিল। পরে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ছদ্মবেশ ধরতে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেন।
এসআই শাহ আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাজাপুর থানা পুলিশ ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে বকুল বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন রাতেই বকুলের ছেলে শফিকুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে রাজাপুর থানায় মামলা করেন।