নাগরিক ডেস্ক : একজন প্রবীন কতক্ষন ঘুমাতে পারেন সেটার ওপর নির্ভর করতে তার মস্তিকের সুস্বাস্থ্য। জামা (JAMA) নিউরোলজি নামের একটি জার্নালে সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণায় এ কথা জানানো হয়েছে। বয়স্কদের মধ্যে ঘুমে বিঘ্ন ঘটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। এর সঙ্গে নতুন কিছু শেখা, চিন্তা করা, সমস্যা সমাধান করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যুক্তি দেয়া, মনে রাখা ও মনযোগ ধরে রাখার বিষয়গুলো সম্পর্কিত। বয়সের কারণে ঘুমের যে পরিবর্তন আসে তার সঙ্গে বিষণ্নতা, কার্ডিউভাসকুলার রোগ ও আলঝেইমার্সের সম্পর্ক রয়েছে। তাই গবেষকরা ঘুমের সময়ের সঙ্গে জীবনের অন্যান্য দিকগুলোর ওপরে পড়া প্রভাবগুলোর সম্পর্ক খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছেন।
গবেষণায় অল্প সময় ঘুম হিসেবে ৬ ঘন্টা বা তার কম সময় ঘুমানোকে উল্লেখ করেছেন। যারা অল্প ঘুমান তাদের শরীরে বেটা অ্যামাইলয়েড বৃদ্ধি পায়।
এটি বাড়লে তা স্মৃতি সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করে। এক ইমেইল বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জো উইনার। স্বাভাবিক ঘুমের সময় হিসেবে গবেষণায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময়কে উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের স্বাভাবিক ঘুম হয় তাদের সঙ্গে কম ঘুমানোদের রিপোর্টের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরা হয় গবেষণায়। এতে দেখা গেছে, যারা কম ঘুমান তাদের বুদ্ধিভিত্তিক সক্ষমতা হ্রাস পায়। অর্থাৎ, মনযোগ, অভিযোজন, ভাষা এবং দৃষ্টি সক্ষমতা কমতে থাকে। বেশি ঘুমানোও নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে তাদের শরীরে বেটা অ্যামাইলয়েড সৃষ্টি হয়না।
গবেষক উইনার বলেন, আসল বিষয়টি হচ্ছে বয়স বাড়লে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ঘুম নিশ্চিত করা জরুরি। যারা কম ঘুমান এবং যারা বেশি ঘুমান তাদের সবারই খারাপ উপসর্গ দেখা যায়। গবেষণায় এটি জানা গেছে যে, বেশি ঘুম এবং কম ঘুম দুটোই বেশ কিছু রোগের দিকে শরীরকে ঠেলে দেয়।