নাগরিক ডেস্ক : চুরি করতে ফাঁকা বাড়িতে নিরাপদে প্রবেশ করেছিল এক যুবক। মালপত্র সব ব্যাগে ঢুকিয়ে ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল। এমন সময়ে শুরু হয় ঝুম ঝুম বৃষ্টি। মনোরম আবহাওয়ায় চেয়ারে বসে পড়েন সেই যুবক। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছেন তিনি, টেরই পাননি। পরে ঘরে ঢুকে গৃহস্থ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। উত্তম-মধ্যম খেতে হয়েছে যুবককে।
ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার উত্তর তালদি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ কুমার নাথের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন প্রদীপ কুমার। গ্রামের বাড়িতে মাঝে মধ্যে যাতায়াত করেন তিনি। বাড়ি ফাঁকার থাকার সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন সেই যুবক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে জানালা ভেঙে ঢুকে পড়েন এক যুবক। একদফা জিনিসপত্র চুরি করেন তিনি। সেগুলো তার বাড়িতে রেখে আবারও ওই বাড়িতেই চুরি করতে ঢোকেন তিনি।
তবে প্রবল বৃষ্টি আর ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেখে চেয়ারে বসে পড়েন সেই যুবক। এর কিছুক্ষণ পরই ঘুমিয়ে পড়েন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও তার ঘুম ভাঙেনি। ততক্ষণে স্থানীয়রা দেখতে পান ঘরের জানালা ভাঙা। পরে তারা মালিক প্রদীপকে খবর দেন। বাড়িতে এসে ওই ব্যক্তি দরজা খুলে দেখেন ঘরের মধ্যে সমস্ত কিছুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। আর চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন চোর। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে ধরে উত্তম-মধ্যম দেন তিনি। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে।
প্রদীপ কুমার নাথের দাবি, ওই যুবক এলাকায় আগেও কয়েকবার চুরি করে ধরা পড়েছিল। তবে চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই যুবক। তার দাবি, মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে।