নাগরিক রিপোর্ট : বরিশাল বিভাগের ছয় জেলাসহ মোট ৯ জেলার জনগণের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র হলো- বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতাল। দেশের অন্যসব সরকারি হাসপাতালের মতো শেবাচিম হাসপাতালেও রয়েছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের অবহেলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম-দূর্ণীতির অভিযোগ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে হলেও এনিয়ে আজ পর্যন্ত সংগঠিত প্রতিবাদ হয়নি। সাবেক ছাত্রমৈত্রী নেতাদের নিয়ে গঠিত ‘মৈত্রী ভলেন্টিায়ার্স’ নামক একটি সংগঠন রোববার বিকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকদের চিকিৎসা বানিজ্য বন্ধ এবং সেখানকার দূর্ণীতি অনিয়ম বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। মৈত্রী ভলেন্টিয়ার্স’র এ কর্মসূচীতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহন করে দাবীর প্রতি সমর্থন জানান।
মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগী সেবা না দিয়ে বাহিরে ক্লিনিক ও চেম্বারগুলোতে চিকিৎসা বানিজ্য করছেন। তাদের এ বানিজ্য প্রসার করার জন্য ক্লিনিক ও প্রাইভেট চেম্বারে শেবাচিম হাসপাতালের পদ-পদবী ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালের এক্সরে মেশিন, আল্টাসনোগ্রামসহ বেশিরভাগ চিকিৎসা সরঞ্জাম কৌশলে বিকল করে রাখা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসপাতালের সামনে ডায়গণাষ্টিক সেন্টার ব্যবসা খুলে রোগীদের সেখানে যেতে বাধ্য করছেন।
বক্তারা বলেন, মেডিকেলে কলেজে লেখাপড়ায় সরকারের ব্যয় করা টাকা জনগণের। হাসপাতালের চাকুরী নেয়ার চিকিৎসকদের বেতনও হয় জনগণের টাকায়। অথচ যুগের পর যুগ চিকিৎসকরা জনগণের মৌলিক অধিকার চিকিৎসাসেবা নিয়ে তামাশা করছেন। এগুলো বন্ধ করা না হলে বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে বক্তারা বলেন।
বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে মাবববন্ধনে বক্তৃতা করেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ, গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট হিরণ কুমার দাস মিঠু, কলেজ শিক্ষক সমিতির বিভাগীয় যুগ্ন আহ্বায়ক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম খোকন, ক্যাব সাধারন সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির সম্পাদক লিংকন বায়েন, সামাজিক সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কাজী ফিরোজ ও মৈত্রী ভলেন্টিয়ার্সের সংগঠক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু।##
২০২১-০৯-০৫