শ্যালকের চোখ উৎপাটন ঘটনায় দুলাভাই কারাগারে

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শ্যালককের দুটি চোখ উৎপাটনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাভাইসহ তার ৪ সহযোগীকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। সম্প্রতি মামলার অভিযোগপত্র দেয়ার পর অভিযুক্ত ৫ আসামী গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করেন। বিচারক কবির উদ্দীন প্রমানিক আসামীদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্তরা হচ্ছে- মামলার প্রধান আসামী মো. মহসিন আলম হাওলাদার (৬০), তার সহযোগী নওমুসলীম শাওন ওরফে অজিত মন্ডল (৩২), মো, আবুল কালাম (২৫), মো. মেহেদি হাসান বিল্লাল (৩২) ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার (৩০)। তারা সকলে বরিশাল নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী বটতলা এলাকার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, একই এলাকায় মহসিন আলম হাওলাদারের সঙ্গে তার শ্বশুর পরিবারের জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে গতবছর ২২ মে রাত ৮টার দিকে শ্যালক যুবলীগ কর্মী সাইদুর রহমান বাহাদুরকে রাস্তা থেকে তুলে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে দুটি পা ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এতে চীরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বাহাদুর। এ ঘটনায় বাহাদুরে ভাই মো. তৌহিদুর রহমান ঘটনার পরদিন দুলাভাই মহসিন আলমের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশী তদন্তে অপর ৪ জন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমান পাওয়া যায়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত মহসিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া সালমা আক্তার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনার শিকার বাহাদুরের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন এবং ঘটনার দিন তার বাসায় যাওয়ার অনুরোধ জানান। বাহাদুর সালমার বাসায় যেতে রাজী হন। এখবর তাৎক্ষনিক মহসিনের কাছে পৌছে দেয় সালমা ও তার স্বামী বিল্লাল। বাহাদুরকে পথে থেকে তুলে পরিত্যাক্ত একটি বাড়ির মধ্যে আটকে মুখে স্ক্রচ টেপ এটে দিয়ে এবং উচ্চশব্দে সাইন্ড বক্স বাজিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, যাতে তার চিৎকার বাইরের লোকজন শুনতে না পায়। বাহাদুরকে ফাঁদে ফেলতে সহযোগীতার বিনিময়ে সালমা-বিল্লাল দম্পত্তির বাড়িভাড়া মওকুফের আশ্বাস দিয়েছিল মহসিন।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *