দশমিনায় কমিটি গঠনে অর্থবানিজ্যের অভিযোগ পটুয়াখালী জেলা আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : আওয়ামীলীগের দু:সময়ে ১৯৭৯ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দলের সঙ্গে আছি। তূনমূলের রাজনীতিতে দলের জন্য সব কাজই করেছি। পড়ন্ত বয়সে পূরস্কার হিসাবে পেলাম দল আমাকে পদহীন করলো’- একথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের বিগত কমিটির সহ সভাপতি এম.এ বাশার ডাবলু। নতুন কমিটি গঠনে তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীরের অর্থ বানিজ্যের শিকার বলে দাবী করেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘোষিত দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭২ সদস্যের পূর্নাঙ্গ কমিটির কোন পদে রাখা হয়নি বিগত কমিটির সহ সভাপতি এম.এ বাশার ডাবলুকে। তিনি গতকাল সোমবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, দলের প্রতি ত্যাগ বিবেচনা করলে আমিই সভাপতি হওয়ার যোগ্য। দলে প্রবীন ও অভিজ্ঞ হিসাবে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সভাপতি হওয়ায় আমি খুশী হয়েছি। সম্প্রতি ঘোষিত পূর্নাঙ্গ কমিটিতে জেলা সভাপতি কাজী আলমগীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২ জন ফ্রিডম পার্টির নেতা এবং আগে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েক ব্যক্তিকে অর্ন্তভূক্ত করেছেন। জেলা সভাপতি আওয়ামীলীগের ৭০ বছরের ঐতিহ্য ধ্বংস করেছেন।
ডাবলু অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এস.এম শাহজাদার সঙ্গে পরমর্শ করে দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য জেলা কমিটিতে প্রেরন করেছিলেন। সেখানে সহ সভাপতি হিসাবে তার (ডাবলু) নাম ছিল। তাকেসহ উপজেলা কমিটির দেয়া ১৯ নেতার নাম বাদ দিয়ে জেলা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তারমধ্যে ঢাকায় লোহার ব্যবসা করেন এমন ব্যক্তিও আছেন। কমিটি নিয়ে জেলা সভাপতি বড় অংকের অর্থ বানিজ্য করেছেন অভিযোগ ডাবলুর।
লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নত্তোরে ডাবলু বলেন, কমিটি নিয়ে অভিযোগগুলো তিনি উপজেলা ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন। সেখানে সমাধান না হলে কেন্দ্রে এবং প্রয়োজনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও যাবেন।
এম.এ বাশার ডাবলুর অভিযোগ প্রসঙ্গে দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজীজ এবং সাধারন সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ টুকু সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা থেকে প্রস্তাবিত কমিটির তালিকা জেলা কমিটির কাছে দেয়া হয়েছিল। সেই তালিকা থেকে ১৯ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগ একটি প্রস্তাবিত পূর্নাঙ্গ কমিটি দিয়েছিল। পাশাপাশি তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়সহ দলের বিরুদ্ধে অবস্থাগ্রহনকারীদের ১৫ জনের পৃথক আরেকটি তালিকা দিয়েছে জেলা কমিটিকে। ওই ১৫ জনের তালিকায় এম.এ বাশার ডাবলুর নাম থাকায় তাকে সহ ১৫ জনকে সদ্য অনুমোদিত কমিটিতে রাখা হয়নি।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *