বিসর্জনের আগে বরিশালে মন্ডপে মন্ডপে হয় সিদুর খেলা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বরিশালে বিজয়া দশমীর বিকালে মন্দিরে মন্দিরে সিদুর খেলায় মেতে ওঠেন সনাতন ধর্মের ভক্ত নারীরা। শুক্রবার সকালে দশমী পূজার মাধ্যমে শেষ হয় দূর্গোৎসবের ধর্মীয় আচার। সন্ধার পর নগরীর ৪৪ পূজামন্ডপে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। তার আগে বিকাল ৪টা থেকে সিদুর খেলা ও দেবীর বরন অনুষ্ঠানে মন্ডপগুলোতে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
নগরীর সদর রোডের জগন্নাথ দেবের মন্দিরে শুক্রবার বিকাল ৫টায় গিয়ে দেখা যায় ভক্ত নারীরা নাচগানের সঙ্গে মেতে ওঠেন সিদুর খেলায়। অনেক ভক্ত নারীকে দেখা গেছে ধর্মীয় রীতিতে পান-মিষ্টি দিয়ে বরন করে বিদায় জানাচ্ছেন দেবী দূর্গাকে। এরকম আনন্দমুখর পরিবেশ ছিল নগরের অধিকাংশ মন্দিরে।
কালিবাড়ি সড়কে পাষানময়ী কালিমন্দিরে দূর্গাপূজার পুরোহিত দুলাল ভট্রাচার্য বলেন, গত সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে ৫দিনের শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়েছিল। দশমীতে হয়েছে বিসর্জন পূজা। বিধি অনুযায়ী বিসর্জন পূজার পর পরই মন্ডপগুলোতে এখন বেজে ওঠে বিদায়ের সুর।
মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক চঞ্চল দাস জানান, মহানগর পূজামন্ডপগুলোর নেতৃবৃন্দকে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে নির্দেশনা ছিল। কীর্তণখোলা নদীর খেয়াঘাটে প্রায় ৩০টির বেশী মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।  জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক মানিক মুর্খার্জী বলেন, জেলা এবং মহানগরের সকল পূজা মন্দিরে উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ন পরিবেশ ছিল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে জেলার সর্বত্র বিসর্জন শুরু করে রাত ৮টার মধ্যে সম্পন্ন হয়।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শাহবুদ্দিন খান বলেন, মহানগরের ৪৪টি মন্ডপে শান্তিপূর্ন ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
এ বছর বরিশাল মহানগর এবং জেলায় ৬৩৪টি মন্ডপে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে মহানগরে ৪৪টি এবং জেলায় ৫৯০টি। সর্বাধিক আগৈলঝাড়া উপজেলায় ১৬১টি মন্দিরে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *