নাগরিক ডেস্ক:
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির (৩৪) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ে করেছেন এক কলেজছাত্রী। মামলায় ওই ছাত্রী কাউন্সিলের বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন। আজ সোমবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন ওই কলেজছাত্রী।
আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে বরিশালের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
রনি নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৌবাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম মনজুর ছেলে। সম্প্রতি তিনি সিটি করপোরেশনের প্রভাবশালী কাউন্সিলর হিসেবে পরিচিত।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪-৫ মাস আগে সিটি কাউন্সিলর রনির সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কলেজছাত্রীর। একপর্যায়ে রনি ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এমন সম্পর্ক সৃষ্টির পর কাউন্সিলর রনি প্রায়শই তরুণীকে তাঁর বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব দিতেন। গত ৭ মে বিকেল ৪টায় রনি মোবাইল ফোনে ওই তরুণীকে বাসায় ডেকে আনেন। এরপর তিনি তাঁর নিজ বাসার দ্বিতীয়তলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরের দিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান কাউন্সিলর রনি।
এরপর ওই কলেজছাত্রী কাউন্সিলর রনিকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় ডেকে নিয়ে কাউন্সিলর রনি তাঁকে মারধর করেন এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের সকল প্রমাণ মুছে ফেলেন। এ বিষয়ে মুখ খুললে ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকিও দেন সিটি কাউন্সিলর রনি।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান বলেন, আসামি সিটি করপোরেশনের প্রভাবশালী কাউন্সিলর হওয়ায় তাঁর মক্কেলকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে নানা অপকৌশল চালাচ্ছেন। আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ঘটনা সাজিয়েছে। আমি ওই তরুণীকে চিনি না। আসন্ন সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা মামলার মাধ্যমে নাটক সাজিয়েছে।’