আয়ারল্যান্ড বইমেলায় মানুষের ঢল

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল:

মানুষের মনের অন্ধকারের আঁকাবাঁকা গলি থেকে আলোর সরল রেখায় দাঁড় করায় জ্ঞান। আর এই জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দিতে বইয়ের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। বইয়ের ভাষায় মিশে থাকে সভ্যতা,সফলতা, সুখ,দুখ, ঐতিহ্য,  মানবিকতা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, আরো কত কি! বইয়ের মলাটে মেখে থাকে ভালবাসাও। হতে পারে সে ভালবাসা রাষ্ট্রের জন্য, প্রিয়জনদের জন্য। বইয়ের কদর বাড়ানোর জন্য তাই বিশ্বব্যাপী বসে বই মেলা।

বাংলা ভাষার যেহেতু রয়েছে বৃহৎ এক ভান্ডার, সেহেতু এই মেলা বাঙালিদের প্রানের মেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বহু আগে। দেশ ছাড়িয়ে তাই প্রবাসেও ছড়িয়ে পড়েছে এই মেলার উত্তাপ। আয়ারল্যান্ডও এখন পিছিয়ে নেই বইমেলা উদযাপনে।

এ নিয়ে দু’বার আয়োজন হলো এ দেশটিতে। প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বারে উপচে পরা ভীড় ছিলো ডাবলিনের ডিসিইউর স্ট্রোক বিল্ডিং মেলা প্রাঙ্গন। সব পেশার মানুষের মিলন মেলায় পুরো সফল ছিলো এ আয়োজন। করোনার বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ার পর থেকেই বইমেলা আয়োজনে অভিজ্ঞ একদল সংস্কৃতিমনা মানুষ পরিশ্রম করেছেন নিরলস। তাদের পরিশ্রমের ফসল এই সফল আয়োজন। মেলা সম্পর্কে প্রধান আয়োজক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান- আয়োজক কমিটির অক্লান্ত পরিশ্রম ও বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই বই মেলা সফল হওয়ার মূল কারন।

 

আগামী দিনে বইমেলা নিয়ে নতুন কোন ভাবনা রয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন-আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বইমেলা আয়োজক কমিটির এক সভা অনুস্ঠিত হবে,সেখানে সবার মতামত নিয়ে আমরা আগামী পরিকল্পনা সাজাবো।

 

শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজন এই বই মেলার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহগুন। কবি, সাহিত্যিকদের নানা বই, চিত্রশিল্পী জেবুন্নসহার অনুর আঁকা দেশিয় সংস্কৃতির নানা শিল্পকর্ম ভিন্ন মাত্রা জোগ করে মেলায়। শিশুদের জন্য তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৩৫০ প্যাকেট লোভনীয় খাবার উপহার, ছিলো নানা স্টলও। প্রধান অতিথি লর্ড মেয়র এলিসন গিলিয়ান্ড সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশের ভাষা সংস্কৃতি ও এ আয়োজনের প্রশংসা ছিলো সন্মান ও শ্রদ্ধার।

 

ব্যাবসায়ী, রাজনীতিবিদ, দু-জন বাংলাদেশি কাউন্সিলর কাজী মোস্তাক আহমেদ, আজাদ তালুকদার, শিশু কিশোর থেকে সব পেশার মানুষের আগমনে মুখরিত ছিলো বইমেলার পুরোটা সময়। মেলা শেষে আগামী মেলার অপেক্ষা নিয়ে ঘরে ফিরেছে বইপ্রেমি বাংলাদেশিরা। বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রফেসর এম,এস,জে হাসমি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *