গলওয়ে নির্বাচনে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি!

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল:

আর দু’দিন পরই গলওয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির নির্বাচন। দুই সভাপতি প্রার্থী-ই বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিফলেট বিতরন করছেন। থেমে নেই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারও। তবে যে সকল প্রতিশ্রুতি তারা দিচ্ছেন,তার বাস্তবায়ন কতটুকু হবে,তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও আশায় থাকলো গলওয়ের বাংলাদেশিরা। হয়তো সব প্রতিশ্রুতি আলোর মুখ দেখবে,হয়তো অন্ধকারেই থেকে যাবে, হয়তো আলো আঁধারির মাঝে হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পরবে। এই হয়তো হয়তোতেই কেটে যাবে দুই বছর। তবে অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের সুখের নয়। শেষ দুই বছরে করোনার বিধি নিষেধে ইচ্ছে থাকলেও অনেক কাজ করতে পারেনি আগের কমিটির সভাপতি।

আবার করোনার বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ার পরও লিভিং সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরকে দিতে পারেনি একটি সংনর্ধনা আগের কমিটি। এর দায়ভার আগের সভাপতির এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কতটুকু রয়েছে সেই প্রশ্ন রয়েই গেলো। তাই ব্যাকফুটে সাবেক সভাপতি। আবার নতুন সভাপতি পদপ্রার্থীও আগের কমিটির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ অনুস্ঠানে হাজির না হয়ে পাল্টা আয়োজন করে রয়েছেন ব্যাকফুটে। তবে নির্বাচনী ইশতেহারে বিভক্তি দূর করার কথা বলায় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেলেও ভরসা পাচ্ছেননা ভোটাররা৷

এখন এই দুই ব্যাকফুটে সভাপতির মাঝে কাকে বেছে নেয় এখানের বাংলাদেশিরা সেই মীমাংসা হবে ২৯ মে রবিবার। নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশির সাথে কথা বললে তারা জানান- ভোট নিয়ে তারা রয়েছেন দ্বিধা দ্বন্দ্বে। ভোট কাকে দিবেন এখনও তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেননা। তাই জরিপ বলছে দুই প্রার্থীর কেউ-ই নেই এগিয়ে। তাই অল্প ভোটের ব্যাবধানে যে কেউ জয়ী হবেন বলেই ধারনা ভোটারদের। এদিকে নতুন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাইছেন সদ্য সিলেকশনে নির্বাচিত হওয়া সদস্যরা। এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে অনেকের মাঝে। নির্বাচনী নীতিমালায় এটি কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও চলছে তর্ক বিতর্ক।

তবে সাবেক সভাপতির পক্ষে এই অভিযোগটি একেবারেই নেই। তার পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছেনা সিলেকশনে নির্বাচিত সদস্যদের কেউ-ই। তার রয়েছে নীরব ভোটার। যেহেতু গলওয়ে শহরে ভোটার সবচেয়ে বেশি,তাই এই ভোটারদের মাঝে ৬০ শতাংশ ভোটার যাকে ভোট দিবেন সেই হবেন আগামীর সভাপতি। সাবেক সভাপতি শহরের বাসিন্দা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও-মূল শহরের একাংশ নতুন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় সাবেক সভাপতির ভোটে কিছুটা প্রভাব পরবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আবার নতুন সভাপতি প্রার্থী শহরের বাইরে বসবাস করায় শহরের ভোট কম পাওয়ার শংকাও রয়েছে। সব মিলিয়ে জম্পেশ এক ভোটযুদ্ধ হবে বলেই ধারনা।

এদিকে আগামী দিনে গলওয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটিকে শক্তিশালী করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিবেন দু প্রার্থী! এ বিষয়ে এক আলোচনার প্রস্তাব রাখলে সাবেক সভাপতি এ আলোচনায় বসতে রাজি থাকলেও এড়িয়ে গেছেন নতুন সভাপতি প্রার্থী। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জনমনে। আবার নতুন সভাপতির অনুসারী,যারা ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের পছন্দের নতুন সভাপতি প্রার্থী যদি নির্বাচিত না হন,তাহলে এ কমিউনিটি কতটা শক্তিশালী হবে,তা নিয়েও রয়েছে শংকা। কোরাম, দ্বিধা বিভক্তি এড়িয়ে আগামীর গলওয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটি সকল বাংলাদেশিদের সমন্বয়েই হবে। এই শুভ কামনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *