‍বিমান বিধ্বস্তে নিহত হলেন সন্তানসহ নেপাল ঘুরতে যাওয়া ডিভোর্সড দম্পতি

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : নেপালে ২২ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা এয়ারের একটি বিমান। এতে সকল যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সেই বিমানেই ছিলেন ভারত থেকে নেপালে ঘুরতে যাওয়া এক ডিভোর্সড দম্পতি। আদালতের নির্দেশে সন্তান এবং সাবেক স্ত্রী বৈভবী ত্রিপাঠীকে নিয়ে নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলেন অশোক ত্রিপাঠী। কিন্তু নেপালেই করুণ পরিণতি হলো তিন জনের। নিজেরা বিচ্ছেদকে বেছে নিলেও মৃত্যু সবাইকে একসঙ্গে বরণ করে নিলো।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়, ওই বিমানে মোট চারজন ভারতীয় ছিলেন। তাদের মধ্যে বৈভবী, তার প্রাক্তন স্বামী অশোক ও তাদের সন্তানও ছিলেন। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদের সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে, প্রতি বছর বৈভবী ও অশোককে তাদের সন্তানের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই তারা নেপালে গিয়েছিলেন। বৈভবী তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন মহারাষ্ট্রেক থানেতে।

বান্দ্রার একটি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি।

কিন্তু রোববার নেপালের একটি বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বৈভবী, তার সন্তান এবং সাবেক স্বামী। রোববার সকালে দুর্ঘটনা হলেও টানা একদিন পর বিমানটির কাছে যাওয়া গেছে। ওইদিন খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ বন্ধ থাকার পর সোমবার ফের নতুন করে তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল উদ্ধারকারী দল। এরপর সকালেই জানানো হয়, নেপালে দুর্ঘটনার কবলে পড়া তারা এয়ারের বিমানটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে খাদের ধারে পড়ে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৪ জনের ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর নেপাল সরকারের তরফে সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।

এর আগে রোববার সকাল ১০ টার কিছুক্ষন আগে তারা এয়ারের বিমানটি নেপালের পোখারা থেকে জোমসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। উড্ডয়নের ২০ মিনিট পর থেকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *