নাগরিক ডেস্ক : ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নূপুর শর্মা এক টিভি বিতর্কে হযরত মুহম্মদকে (সা.) কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদে ভারতের ঝাড়খণ্ডের রাচিতে করা বিক্ষোভে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের এ সংঘর্ষ হয়। এতে আরও ২২ জন আহত হয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র মেডিক্যাল জানায়, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর হাসপাতালে নিয়ে আসা দুজন মারা গেছেন। আহত ২২ জনের মধ্যে ১০ জনই পুলিশ সদস্য। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল শুক্রবার পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অংশে কারফিউ জারি করা হয়। বিক্ষোভকারীরা মহনবী (সা.) কটূক্তি করা বিজেপির বরখাস্তকৃত নেত্রী নূপুর শর্মার গ্রেপ্তার দাবি করেন।
বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে। রাচির প্রধান সড়কে একদল জনতা জড়ো হয়ে নূপুর শর্মা এবং বিজেপির দিল্লি শাখার সাবেক গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালের গ্রেপ্তার দাবিতে স্লোগান দেন। পরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ঝাড়খণ্ডের মতো ভারতের অন্তত ৯টি প্রদেশে গত কয়েক দিন ধরে এই ধরনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। মহানবী (সা.) কে অবমাননার প্রতিবাদে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের প্রধান অনশুমান কুমার গুলিতে দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামীকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন শান্তি কামনা করে বলেন, ‘আমি হঠাৎ এরকম ঘটনার কথা জানতে পারি। ঝাড়খন্ডের জনগণ খুবই সংবেদনশীল ও সহনশীল। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেককে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বলছি এবং যে কোনো ধরনের সংঘাত থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’