নাগরিক ডেস্ক :বর্তমানে মানুষ যেভাবে সেলফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠেছে তা দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সেলফোনের উদ্ভাবক মার্টিন কুপার। সত্তরের দশকে ‘মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামক মোবাইল ফোন বাজারে এনে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন কুপার। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম মোবাইল আবিষ্কার করেন মার্টিন। সেই দিনের কথা স্মরণ তিনি বলেন, ‘‘ফোনটা আড়াই পাউন্ড ওজনের ছিল। আর ১০ ইঞ্চি লম্বা। একবার চার্জ দিয়ে ২৫ মিনিট কথা বলা যেত। আর চার্জ হতে সময় লাগত ১০ ঘণ্টা।’’ কিন্তু সেলুলার হ্যান্ডসেট তৈরির প্রায় ৫০ বছর পর, ৯৩ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার বিশ্বাস করেন যে, লোকদের তাদের ফোনে কম সময় ব্যয় করা উচিত।
বিবিসিতে কুপারের সাক্ষাত্কার নেবার সময় তাঁর কো -হোস্ট দাবি করেছিলেন যে, তিনি তার ফোনে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন। যা শুনে বিস্মিত হয়ে যান কুপার। উল্টে তিনি বলেন, দিনের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এই ইঞ্জিনিয়ারের দাবি , ‘‘জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।’’
১৯৫৪ সালে মটোরোলার জন্য কাজ শুরু করার আগে, মার্টিন কুপার টেলিটাইপ কর্পোরেশনে তার প্রথম চাকরি করেছিলেন।
তিনি প্রথম পোর্টেবল পুলিশ রেডিও সিস্টেমগুলির উদ্ভাবনেও অবদান রেখেছিলেন। মার্টিনই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাজারে একটি পোর্টেবল ফোন সরবরাহ করেছিলেন। কুপার এটিকে তার “সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব” হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন কারণ তিনি চেয়েছিলেন যে প্রত্যেকের নিজস্ব ফোন নম্বর থাকবে। কারণ তার আগে, ফোনগুলি নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকতো, সরানো যেত না। মটোরোলা তাদের প্রকল্পে মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরে কুপার এবং তার দলের মোবাইল ফোনটি তৈরি করতে মাত্র তিন মাস সময় লেগেছিল ।
সূত্র : republicworld.com